ছবি : সংগৃহীত

মানুষের মৃত্যুর পর কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত মানুষের রূহ কোন অবস্থায় থাকে? রুহের সাথে কী করা হয়? কেমন আচরণ করা হয়? এমন প্রশ্ন করেনে অনেকে।

তাদের জন্য উত্তর হলো- দুইটি জগৎ রয়েছে। একটি হলো দুনিয়ার জগৎ। আমরা এখন দুনিয়াতে আছি। আরেকটি হলো- আখিরাতের জগৎ। আখিরাত হলো- যেখানে বিচার হবে এবং জান্নাত-জাহান্নামের ফয়সালা হবে। এটি হলো- আখিরাত।

দুনিয়া ও আখিরাতের এই দুইটি জীবনের মাঝে আরেকটি জীবন রয়েছে, যেটাকে বলা হয় علم البرزخ। এটি হলো- পার্টিশন, অপেক্ষার সময়। কবরের জগৎ হচ্ছে অপেক্ষার সময়। এই সময়ে রূহ কোথায় থাকে— এ সম্পর্কে আমরা হাদিস থেকে জানি, একজন মৃত মানুষের রূহকে যখন বের করে নেওয়া হয়; যদি সে দ্বীনদার হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা বলেন- তার রূহকে علّيّين বা ইল্লিয়িন এর মধ্যে রাখো। علّيّين ইল্লিয়িন হচ্ছে- সর্ব উপরের ও সম্মানের একটি স্থানের নাম। আর যদি দ্বীনদার না হয়, বিশ্বাসী না হয়; তখন সিফফিন নামে একটি স্থান আছে— একটি অধস্থন ও নিকৃষ্ট স্থান, সেখানে ওই রূহ রাখা হয়।

আর কবরের সাথে মানুষের আত্মার একটি সম্পর্ক থাকে। সম্পর্ক হওয়ার পর সেখানে মুনকার এবং নাকির প্রশ্ন করে। এমনকি যখন আমরা সালাম দিই কবরের পাশে— তখন কবরবাসী সেটি শুনতে পায়, তাকে সেটি শুনানো হয়। আমাদের পরিবারের লোকজন কে কী কাজ করছে, ফিরিশতারা সেটির রিপোর্টও তাদের কাছে পৌঁছায়। এজন্য আমাদের মৃত আত্মীয়-স্বজনরা আমাদের ভালো কাজে খুশি হন, যখন ফিরিশতারা তাদের কাছে তা পৌঁছায়। আর খারাপ কাজ যদি তাদের কাছে পৌঁছায় তারা খুব মনক্ষুণ্ন হয়। এজন্য আমরা এমন কোনো কাজ করব না— যাতে আমাদের মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন তারা মনক্ষুণ্ন হয়।

(সূত্র : নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ২০৭৩)