কখনও যদি কথাবার্তার কিংবা কোনো কাজে-কর্মে অনিচ্ছাকৃতভাবে শিরক হয়ে যায়, তাহলে কী করতে হবে? আল্লাহর কাছে তাওবা করলে হবে নাকি আরও অন্য কোনো আমলও করতে হবে? এছাড়াও শিরক থেকে বাঁচার দোয়া কী? এমনটা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের জেনে রাখার সুবিধার্থে এখানে দুইটি বিষয় উল্লেখ করা হলো।

এক. অনিচ্ছাকৃত কুফরি বা শিরকি কথা বলা

কারও যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে উক্ত কুফরি কিংবা শিরকি বাক্য মুখ থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে ঈমানের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে ঈমান ও কুফরের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা আবশ্যক, যেন কখনো কুফরি বা শিরকি কোনো কথা অসতর্কতায়ও প্রকাশ না পায়।

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন।’ (ইবন মাজাহ, হাদিস : ২০৪০)

দুই. শিরক থেকে বাঁচতে দোয়া

শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) সেই উপায় শিখিয়ে দিয়েছেন। মা’কাল ইবনু ইয়াসার (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আবু বকর (রা.)-কে বলেছেন, ‘হে আবু বকর! নিশ্চয় তোমাদের মাঝে শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়ে সূক্ষ্ম। সেই সত্তার শপথ— যার হাতে আমার প্রাণ, শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়ে সূক্ষ্ম। আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেব না, যা বললে শিরকের অল্প ও বেশি সবই দূর হয়ে যাবে? আপনি বলুন,

ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أشْرِكَ بِكَ وَاَنَا أَعْلَمُ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন-আশরিকা বিকা, ওয়া আনা আ’লামু; ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু।

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই। (সহিহ আলআদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৫১)