প্রতীকী ছবি

জুমা ও জুমাবারের গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই। এ দিন ইসলামী ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে।

এই দিনের বিশেষ কিছু আমল ও ফজিলত রয়েছে। আমলগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বিপুল সওয়াব দান করবেন। জুমায় উপস্থিত হওয়ার যেমন বিশেষ ফজিলত আছে, জুমার নামাজ আদায়ের কারণে মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের বিশেষ নূরও দান করবেন।

কেয়ামতের দিন জুমার নামাজ আদায়রে কারণে তাদের চেহারা বিশেষ রকমভাবে প্রতিভ হয়ে আলো ছড়াবে। আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন পৃথিবীর দিবসগুলোকে নিজ অবস্থায় উত্থিত করবেন। তবে জুমার দিনকে আলোকোজ্জ্বল ও দীপ্তিমান করে উত্থিত করবেন। জুমা আদায়কারীরা আলো দ্বারা বেষ্টিত থাকবে, যেমন নতুন বর বেষ্টিত থাকে। এটি তাকে প্রিয় ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। তারা আলোবেষ্টিত থাকবে এবং সেই আলোতে চলবে। তাদের রং হবে বরফের মতো উজ্জ্বল ও সুগন্ধি হবে কর্পূরের পর্বত থেকে সঞ্চিত মিশকের (বিশেষ সুরভি) মতো। তাদের দিকে জ্বিন ও মানুষ তাকাতে থাকবে। তারা আনন্দে দৃষ্টি ফেরাতে না ফেরাতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের সঙ্গে একনিষ্ঠ সওয়াব প্রত্যাশী মুয়াজ্জিন ছাড়া কেউ মিশতে পারবে না।’ (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ১০২৭; সহিহ ইবনে খুজায়মা, হাদিস : ১৭৩০)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকভাবে জুমার নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমাদের যাবতীয় গুনাহ ও পাপ মার্জনা করুন। অশেষ কল্যাণে আমাদের অভিষিক্ত করুন। আমিন।