ছবি : সংগৃহীত

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন।

তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য ও গুনাহের কাজ।

আল্লাহ রাগ করবেন যে, ‘আমি আমার বান্দার নিকট পুরো চব্বিশ ঘণ্টা ইবাদত করতে তো বলিনি। তাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার সুযোগ তো আমি দিয়েছি। সামান্য যে কয়টি মিনিট আমি চাই, এসময়টুকুও তারা আমার সামনে দাঁড়াতে পারে না?! কেন!’ অতএব, চব্বিশ ঘণ্টার জীবন যিনি আমাদের দিয়েছেন, তার জন্য কয়েকটি মিনিট সময় কি আমরা ব্যয় করার সুযোগ বের করতে পারব না? অবশ্যই পারব।

যদি অনিচ্ছাকৃত নামাজ কাজা হয়ে যায়, তখন শুধু ফরজকেই আদায় করতে হয়, সুন্নাতকে আদায় করতে হয় না। আর ফিকহের কিতাবে লেখা আছে— ফজরের নামাজের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যদি আজকের ফজরের কাজা হয়, তবে সূর্য মধ্য গগণে আসার আগে ভাগেই যদি আদায় করেন; তবে আপনি ফজরের ফরজ সুন্নাত সহ আদায় করবেন। আর সূর্য জোহরের ওয়াক্তে প্রবেশ করার পর আর ফজরের ফরজ কাজা করবেন, সুন্নাত কাজা আদায় করতে হবে না। আর অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রে ফরজ গুলো কাজা করবেন, সুন্নত কাজা করতে হবে না। তবে বিতরের নামাজ কাজা পড়তে হয়। আশা করি, আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

(সূত্র : আল-মাবসুত, সারাখসি : ১/১৬১)