ছবি : সংগৃহীত

হাফ শার্ট অথবা গেঞ্জি পরিধান করে নামাজ পড়া যাবে কিনা? এভাবে কাপড় পরে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে? নাকি ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা তৈরি হবে কি? এমন প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন।

এর উত্তর হলো- জি, হাফ শার্ট অথবা গেঞ্জি পরিধান করে নামাজ পড়লে— নামাজ আদায় হবে। নামাজের কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, একজন পুরুষের জন্য যেটা প্রয়োজন— সেটা হলো- সতর ঢাকতে হয়। সতর হলো- নাভি থেকে আরম্ভ করে হাঁটু পর্যন্ত। এটা ঢাকা থাকতে হবে, এটা ফরজ। এরপরে শালীন পোষাক পরিধান করে সুন্দর পোশাক পরিধান করে নামাজ পড়তে আল্লাহ বলেছেন।

خذوا زينتكم عند كل مسجد

অর্থ : ‘যখনই তোমরা আল্লাহর দরবারে সিজদা করতে নামাজ পড়তে যাও, তোমরা তোমাদের সৌন্দর্য গ্রহণ করো।’ সৌন্দর্য গ্রহণ অর্থ হলো- শালীন ও সুন্দর পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করা।

এখন হাফ শার্ট পড়ে নামাজ পড়লে মাকরুহ হবে কিনা— যেটা আপনি প্রশ্ন করেছেন। আসলে হাফ শার্ট পড়াকে আমাদের সমাজে কি অশালীন পোশাক মনে করা হয় কিনা, যেহেতু এটাকে অশালীন পোশাক মনে করে না। অফিসে মানুষ হাফ শার্ট পড়ে যেতে পারে। অথবা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ তার হাফ শার্ট পড়ে যেতে পারেন। এতে কারও আপত্তি থাকে না। কাজেই হাফ শার্ট পড়ে নামাজ পড়াটা অশালীন পোশাক নয়, এটা সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। তাই এটাতে নামাজ মাকরুহ হওয়ার প্রশ্ন নেই।

আরও পড়ুন : নামাজে হাই উঠলে যা করবেন

হ্যাঁ, অনেকে মনে করেন যে— যদি ফুল হাতা হয়, তাহলে সুন্দর বেশি দেখায়; তাহলে এটা ভালো। তবে হাফ শার্ট পরিধান করে নামাজ পড়লে— নামাজ মাকরুহ হবে, এই ধারণার কারণে অনেকে নামাজ পড়ে না। কারণ, হাফ শার্ট তাই নামাজ পড়ছে না; এটা কত মূর্খতা চিন্তু করে দেখুন। খেয়াল রাখতে হবে— এটা যেন না হয়। ফুল হাতা শার্ট পরিধান করে নামাজ পড়লে হয়ত ভালো হতো, তবে আরও পরিপূর্ণ পোশাক যদি থাকে; সেটা হলে আরও ভালো হতো। কিন্তু এতে করে নামাজে কোনো গুনাহ হবে না। নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।

(সূত্র : সুরা আরাফ, আয়াত ৩১; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২১৭৮৬)