ছবি : সংগৃহীত

গত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ওই টুর্নামেন্টে পেস বিভাগে যুব টাইগারদের মূল ভরসার নাম ছিলেন শরিফুল ইসলাম। নিজের আক্রমণাত্মক আচরণ ও বোলিং দিয়ে সবার নজর কেড়েছেন এই পেসার। 

যুবাদের পর এবার বড়দের সঙ্গেও নিজের সামর্থ্যের জানান দিচ্ছেন শরিফুল। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এখনো পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে সাত উইকেট পেয়েছেন তিনি। এই টুর্নামেন্টেও নিজের আক্রমণাত্মক মনোভাব ধরে রেখেছেন শরিফুল। এটাই তার অভ্যাস বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পেসার। 

তিনি বলেন, ‘আক্রমণাত্বক ভঙ্গিটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে আর এটা অভ্যাস। ছোট বেলা থেকই বোলিং করে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলে যাই ব্যাটসম্যানের কাছে। এটার আগে থেকে কোন পরিকল্পনা থাকে না। নতুন বলে বল করা খুবই উপভোগ করছি কারণ সব পেস বোলাররাই চায় নতুন বলে বল করতে। আর পেস বোলাররা আক্রমণাত্বক বোলিং করতে পছন্দ করেন। তাই আমিও নতুন বলে বোলিং করাটা উপভোগ করছি।’

টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত কোনো ম্যাচ না হেরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শরিফুলের বোলিং জুটির। কাটার মাস্টার খ্যাত পেসারের সঙ্গে বোলিং করাটা উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন শরিফুল।

তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে বল করাটা খুবই উপভোগ করছি। সবসময়ই প্রতি ওভারে বলে যাওয়ার আগে ভালো পরামর্শ দিয়ে থাকে বা ম্যাচের পরে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে বল করতে পারি। দুইজনের মধ্যেই ভালো একটা লড়াই চলছে। ওনাকে সব কিছু বলা যায়। উনিও সবকিছু বলে পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে বল করতে হবে। খুব ভালো লাগে খুব মজা লাগে ওনার সাথে বল করতে।’

এমএইচ