দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ক্লাবের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ড চলে এসেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। একের পর এক ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলপোস্টের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। লন্ডনে ফিরে ক্লান্তি কাটাতে টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা ঘুমাতেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক।

বিশ্বকাপে দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন মার্টিনেজ। উচ্ছ্বসিত হলেও শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই ক্লান্তি কাটাতে ইংল্যান্ডে ফেরার পর দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন কয়েক দিন। মার্তিনেস বলেছেন, ‘ব্রিটেনে ফেরার পর দিনে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলাম। সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালেই হয়তো হতো। আসলে আমার প্রচুর অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়েছিল।’

বিশ্বকাপের পর থেকেই ফুটবল বিশ্বের আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে যেমন নজর কেড়েছিলেন, তেমন একাধিক বিতর্কেও জড়িয়ে ছিলেন তিনি। তাকে দলে পেতে আগ্রহী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, চেলসি, জুভেন্তাস, ইন্টার মিলানের মতো ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলো।

নিজের সম্পর্কে মার্টিনেজ বলেছেন, ‘একটা সময় নিজেকে যথেষ্ট ভালো গোলরক্ষক মনে করতাম না। যেমন গোলরক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, তেমন হতে পারছিলাম না। যদিও ছোট থেকেই প্রতিভাবান ছিলাম। ইংল্যান্ডের বড় ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছি কম বয়সে। তাও সফল ফুটবলজীবন গড়ে তোলা এবং আর্জেন্টিনার এক নম্বর গোলরক্ষক হওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্ন দেখতাম না।’

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেডএস