পল্টনস্থ কাবাডি স্টেডিয়ামে উৎসুক জনতার ভিড়। আর্জেন্টিনার জার্সি পড়ে কাবাডি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করছেন খেলোয়াড়রা। ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনা কাবাডি খেলতে এসেছে বাংলাদেশে। স্টেডিয়াম পাড়ায় লোকজনের তাই বাড়তি আগ্রহ। মেসির দেশের মানুষদের যদি একনজর কাছ থেকে দেখা যায়।

বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসে। কাবাডি দলও সেই ভালোবাসা পেয়ে গর্বিত, ‘বিমানবন্দর, হোটেল থেকে স্টেডিয়াম সব জায়গায় আমরা দারুণ সমাদৃত। এজন্য আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ’-বলেন আর্জেন্টিনা কাবাডি দলের কোচ ও এসোসিয়েশনের সভাপতি রিকার্দো একুনিয়া। 

তৃতীয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছে আর্জেন্টিনা। পরশু দিন থেকে শুরু টুর্নামেন্ট। আজ (শনিবার) বাংলাদেশের কোর্টে প্রথম নিজেদের ঝালাই করেছে ল্যাটিন আমেরিকার দলটি। ঘন্টা দেড়েক অনুশীলন করেছেন তারা। মেসি, মার্টিনেজের জার্সি পড়ে কাবাডি অনুশীলন করেছে আর্জেন্টিনা।

আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা ভাই-ভাই’

ফুটবলারদের জার্সি পড়ে অনুশীলনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোচ,‘আর্জেন্টিনায় ফুটবল তুমুল জনপ্রিয়। আমরা এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও তাই ফুটবলের জার্সি পড়েই অনুশীলন করেছে অনেকে’। আর্জেন্টিনা দলে রয়েছে দ্বিতীয় বিভাগের খেলা দুইজন ফুটবলারও। 

ঢাকায় এসে অনুশীলনের প্রথম সেশনে ইনজুরিতে পড়েছেন এক খেলোয়াড়। এজন্য বাংলাদেশের কোর্ট বা আবহাওয়া কোনোটিকে দায়ী করেননি আর্জেন্টিনা দলের কোচ, ‘আমাদের একজন ব্যথা পেয়েছে। এটা হতেই পারে। চিকিৎসক তাকে দেখবে, খেলার উপযোগী হলে খেলবে না হলে তাকে ছাড়াই আমরা খেলব। বাংলাদেশের কোর্ট ও পরিবেশ যথেষ্ট ভালোই’। 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ মোট ১২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এই প্রতিযোগিতাকে কাবাডি বিশ্বের অন্যতম বড় টুর্নামেন্ট বলে মন্তব্য আর্জেন্টিনা কোচের, ‘কাবাডির অধিকাংশ টুর্নামেন্ট ৬-৭ টা দলের। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া মহাদেশের দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব কাবাডির বড় টুর্নামেন্ট এটি।’

১২ দলের টুর্নামেন্টে বড় আশা নেই আর্জেন্টিনার। একটি-দুটি ম্যাচ জিতলেই খুশি, ‘আমরা আসলে একটি অথবা দু’টি ম্যাচ জিততে চাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন আছে কিন্তু এটা আসলে অনেকটা কঠিন আমাদের জন্য’।

এজেড/এফআই