পিছিয়ে যাচ্ছে মোহামেডানের নির্বাচন!
দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নির্বাচন আবারো পিছিয়ে যেতে পারে। ৯ জানুয়ারি ছিল নির্বাচনের তারিখ। তবে এখনো নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়নি। যদিও নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসেনি।
মোহামেডানের অন্যতম পরিচালক ও বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ কামরুন নাহার ডানা এই ব্যাপারে বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের অনেক সদস্য প্রবীণ। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা একটু কঠিনই।’
বিজ্ঞাপন
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির পর লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার গ্রুপ এখন নিষ্ক্রিয়। নির্বাচনে তেমন প্রতিদ্বদ্বিতার আভাস নেই। সমতার ভিত্তিতে এক প্যানেলেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে নির্বাচনী ঝক্কি ঝামেলা তেমন নেই। ভোটাভুটি না হলেও এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) করা বাধ্যতামূলক। এজিএমে প্রায় দেড় শতাধিক স্থায়ী সদস্য উপস্থিত থাকতে পারেন।
সেই শঙ্কাতেই নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ‘আমাদের সবার প্রিয় বাদল দা চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। কম-বেশি অনেক সদস্য করোনাতে আক্রান্ত অথবা সদ্য করোনা থেকে উঠে এসেছেন। এর মধ্যে এজিএম করাটা একটু ঝুকি পূর্ণই।’
বিজ্ঞাপন
মোহামেডান ক্লাবের অর্ন্তবর্তীকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ আমিনউদ্দিন। তিনি সম্প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে এক রায়ের মাধ্যমে তাকে অন্তবর্তীকালীন সভাপতি নিয়োগ দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
আমিনউদ্দিন ১৮ এপ্রিল নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে সেটি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায়। এরপর আবার ৯ জানুয়ারী পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করেন।
বাদল রায়ের মৃত্যু ও তার নিজের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ক্লাবের নির্বাচন আবার পিছিয়ে যাওয়ার আভাস মিলছে।
এজেড/এটি/এমএইচ