দরজায় কড়া নাড়ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার আসর হিসেবে যাকে বিবেচনা করা হয়। আইসিসি আয়োজিত অন্য যেকোন আসরের তুলনায় একদিনের এই বিশ্বকাপ ঘিরেই উন্মাদনা কিংবা প্রচার-প্রচারণা থাকে সবচেয়ে বেশি। থাকে অর্থের ব্যাপক ঝনঝনানি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এবারের টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি

তবে এবারের আসরে প্রাইজমানি বাড়ানোর কথা জানায়নি আইসিসি। পুরো টুর্নামেন্টের জন্য তাদের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বিষ্ময়কর ব্যাপার, আইসিসির এই পুরো আয়োজনের পুরস্কার ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী দলের তুলনায় চারগুণ কম। কাতারের বিশ্বকাপ জয় করে লিওনেল মেসির দল পেয়েছিল ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

পুরো বিশ্বকাপে ফিফা পুরস্কার বাবদ ব্যয় করেছিল ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হিসেবে যা ক্রিকেট বিশ্বকাপের চেয়ে ৪ গুণ বেশি। কাতারে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা পেয়েছিল ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রানারআপ ফ্রান্স পেয়েছিল ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া কোয়ার্টার ফাইনাল এবং রাউন্ড অভ সিক্সটিন খেলা প্রতিটি দলও ক্রিকেট বিশ্বকাপের মোট অর্থের চেয়ে বেশি প্রাইজমানি পেয়েছেন। আর গ্রুপ পর্ব খেলা দলের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

এ তো কেবল পুরুষ দলের হিসাব। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত নারী বিশ্বকাপও আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে থাকবে। ২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য বরাদ্দ ছিল ১১০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯ বিশ্বকাপে জয়ী দলের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০ মিলিয়ন। যা আইসিসি ইভেন্টের চেয়ে তিনগুণ বেশি।  

আইসিসি বলছে, এবারের আসরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল পাবে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা (৪ মিলিয়ন ডলার)। রানার্স-আপ দল পাবে তার অর্ধেক, ২২কোটি টাকা বা ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া । সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল দুটি পাবে ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে। 

প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দলগুলোর জন্যও থাকছে মোটা অঙ্কের টাকা পুরস্কার। বাদ পড়া ছয় দলের প্রত্যেকে পাবে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা করে। এছাড়া গ্রুপপর্বে যে ৪৫টি ম্যাচ হবে, সেখানে ম্যাচজয়ী দলগুলো পাবে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা করে।

জেএ