গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স হকি লিগে সুপার সিক্সে উষা ক্রীড়া চক্রের যাত্রাটা ভালো হয়নি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মেরিনার ইয়াংসের বিপক্ষে ৫-৩ গোলে হেরেছে পুরান ঢাকার ক্লাবটি। 

হকি লিগে বড় দুই দলের ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা ও অনেক সময়ক্ষেপণ। আজকের ম্যাচে অবশ্য তেমন সমস্যা হয়নি। তবে খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে উষার ডাগ আউট থেকে খেলোয়াড়দের উঠে যাওয়ার নির্দেশনা দেখা যায়। শেষ কয়েক সেকেন্ড খেলা সেভাবে হয়নি। 

ম্যাচে মেরিনার্স স্বাভাবিক খেলা খেলেই জয়লাভ করেছে। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর প্রতিপক্ষকে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে চিঠি দিয়েছে উষা ক্রীড়া চক্র। উষার কর্মকর্তা ফারুক শিকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করেছে, প্রতিটি দল বাহিনীর পাঁচ জন খেলোয়াড় খেলাতে পারবে। মেরিনার্স আজ ছয় জন খেলোয়াড় খেলিয়েছে। যা লিগের বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে দাবি করেছে উষা। 

লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না উষার আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘তাদের একটা চিঠি দেখেছি কিন্তু এই চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করতে হলে তাদের ফি প্রদান করতে হবে। আপিল ফি প্রদান করে এই চিঠি দিতে হয়। এখনো আমরা আপিল ফি পাইনি।’ 

চলতি মৌসুমে ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেরিনার্স। লিগের প্রথম পর্ব শেষে সুপার সিক্স চলছে। এমন মুহূর্তে বাহিনীর একজন বেশি খেলোয়াড় খেলানোর অভিযোগ তুলেছে উষা ক্রীড়া চক্র। যা অন্য দলগুলো তুলেনি এখন পর্যন্ত। 

ছয় বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা উষা ক্রীড়া চক্র প্রথম পর্ব শেষে শিরোপা দৌড়ে ছিল। শীর্ষে থাকা মোহামেডানের চেয়ে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক পয়েন্ট কম ছিল। আজ মেরিনার্সের বিপক্ষে হেরে সেই ব্যবধান কার্যত বেড়ে দাড়িয়েছে চার। ফলে শিরোপা পুনরুদ্ধার অনেকটাই কঠিন। অন্য দিকে মেরিনার্স আজকের জয়ে মোহামেডানের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ছয়ের পরিবর্তে কমিয়ে চারে নামিয়েছে।

উষা লিগের প্রথম ম্যাচে মেরিনার্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল। আজ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে মেরিনার্স সেই প্রতিশোধ নিল। মাঠের লড়াই শেষ হলেও উষার আনীত অভিযোগে আবার মাঠের বাইরেও চলছে দুই দলের লড়াই। লিগ শুরুর সময় ক্ষণ নিয়েও দুই দলের মধ্যে চলেছিল চিঠির যুদ্ধ।

শনিবার খেলার তৃতীয় মিনিটে রাজিন্দর সিংয়ের ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় মেরিনার্স (১-০)। ১৪ মিনিটে কৌশিকের ফিল্ড গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা (২-০)। প্রথম কোয়ার্টারে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে মেরিনার্স। খেলার ২১ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে মেরিনার্সকে আরো এগিয়ে নেন সবুজ (৩-০)। ২৪ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ঊষা। ইকতিদারের ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৩-১ করে দলটি। ৪৩ মিনিটে আবারো গোলের আনন্দ ঊষা শিবিরে। ইকতিদার গোল করলে ব্যবধান ৩-২ করে ঊষা।  

৪৪ মিনিটে দীপকের ফিল্ড গোলে ব্যবধান আবারো বাড়িয়ে নেন মেরিনার্স (৪-২)। খেলার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে দুটি গোল হয়। একটি করে মেরিনার্স ; অপরটি ঊষার। ৫১ মিনিটে রাব্বির গোলে ব্যবধান ৫-২ করে মেরিনার্স। ৫৮ মিনিটে খেলার শেষ গোলটি করেন ঊষার ইকতিদার (৫-৩)। এই গোলের মধ্য দিয়ে হ্যাটট্রিকপূর্ণ করে ইকতিদার।

এজেড/জেএ