প্রথম টেস্ট জিতে রীতিমতো উড়ছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে, সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট জয়, বিষয়টা যে মোটেও খাটো করে দেখার মতো নয়! তবে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই ভারত পায় দুঃসংবাদ, চোট নিয়ে ছিটকে যান বিরাট কোহলি। এরপর ভারতও হারে ম্যাচটা। সিরিজে এর ফলে চলে এসেছে ১-১ সমতা।

এমন অবস্থায় দলটিকে সুসংবাদ মতোই শোনালেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। জানালেন, চোট কাটিয়ে তৃতীয় টেস্টেই ফেরার সম্ভাবনা আছে কোহলির। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। আগামী ১১ জানুয়ারির আগেভাগে পুরোদমে অনুশীলনেও ফিরতে পারবেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক।

দ্রাবিড় বলেছেন, ‘বিরাট ইতোমধ্যেই বেশ ভালো অবস্থানে চলে এসেছে। এখন একটু আধটু ফিল্ডিংও করছে। দৌড়ানো শুরু করে দিয়েছে। কোনোপ্রকার সমস্যা হচ্ছে না তার। এখন শারীরিকভাবে বেশ ভালো জায়গায় চলে এসেছে সে। আমি আশা করছি, পরের টেস্টের আগে সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যাবে সে।’

কোহলির ফেরা প্রায় নিশ্চিত হলেও দলের চোটগ্রস্থ আরেক খেলোয়াড় মোহাম্মদ সিরাজের চোট রয়ে গেছে। পরের টেস্টে না খেলা অনেকটাই নিশ্চিত তার, আভাস মিলেছে দ্রাবিড়ের কথায়।  

তিনি বলেন, ‘সিরাজের চোট নিয়ে একটু চিন্তা রয়ে গেছে এখনো। ওকে আগে অনুশীলনে যাচাই করা হবে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে দ্রুত ফেরাটা একটু কঠিনই। তবে সৌভাগ্যক্রমে আমাদের বেঞ্চের শক্তিও বেশ ভালো। উমেশ আর ইশান্ত আছে আমাদের বেঞ্চে।’

জোহানেসবার্গ প্রথম তিন দিনে বোলারদের দাপট দেখলেও শেষ দিনে বেশ বিবর্ণই ছিলেন ভারতীয় বোলাররা। ডিন এলগারের দারুণ দৃঢ় এক ইনিংসের সামনেই অসহায় ছিল ভারত। তবু কোচ দ্রাবিড় জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিলেন দ. আফ্রিকাকে, দায় দেখলেন নিজেদের ব্যাটারদের।

তিনি বলেন, ‘বলতে দ্বিধা নেই, এই টেস্টে দুর্দান্ত খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে ওরা। শেষ দুই দিনে ১২২ রান দরকার ছিল তাদের। পিচে অসমান বাউন্স ছিল, যে কারণে আমাদের সুযোগ ছিল খানিকটা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের কোনো সুযোগই দেয়নি। প্রথম ইনিংসে ৬০-৭০টা রান কম হয়ে গেছে, সেটা হলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ চাপেই পড়ে যেত।’

তবে হারের ফলে দলের মানসিকতা আরও বেশি পোক্ত হয়েছে দলের, জানালেন দ্রাবিড়। বললেন, ‘একটা হার বরাবরই আমাদের আরও তাতিয়ে দেয়, ভবিষ্যতে ভালো করার তাড়না দেয়। পরের টেস্টে আমরা আরও শক্তিশালী হয়েই ফিরে আসব।’

এনইউ