প্রথম সবকিছুই নাকি বিশেষ। কেউ কি নতুন করে সেটা দেখতে চান? নিগার সুলতানার চোখের দিকে তাকানোই যথেষ্ট তাহলে। আইসিসির পেজে দেওয়া সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওতেই স্পষ্ট তার উচ্ছ্বাস। কথাতেও আত্মবিশ্বাসের শক্তি, দারুণ কিছু করার প্রত্যয়। স্বপ্নটা যে অনেক দিনের!

নিউজিল্যান্ডে হচ্ছে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অংশ নেওয়া আট দলের একটি বাংলাদেশ। আগামী ৫ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাঘিনীদের বিশ্বকাপ মিশন। এর আগে খেলবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জানালেন, প্রথম বিশ্বকাপটা তারা স্মরণীয় করে রাখতে চান। 

তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। কারণ এটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ। নিজেদের সেরাটা দিতে চাই এখানে। আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা আমার (অধিনায়ক) কাজটা সহজ করে দেয়। তারা জানে, আমার দলে তাদের কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। মূল ম্যাচে কী করতে হবে সেটাও তাদের জানা।’

কেবল অভিজ্ঞদের নয়, নিগার সুলতানার ভরসা আছে তরুণদের ওপরও, ‘আমার মনে হয় অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে যারা ভালো করেছে গত কয়েক মাসে। অনেক অলরাউন্ডার আছে, তারা শেষ টুর্নামেন্টে ভালো এফোর্ট দিয়েছে। আশা করি, মূল ম্যাচে আমরা ভালো করবো।’

বিশ্বকাপ খেলতে কতটা মরিয়া ছিলেন, সেটাও স্পষ্ট করেই বলেছেন নিগার সুলতানা, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কারণ জানতাম এটাই আমাদের সেরা সুযোগ। যখন কোয়ালিফায়ারে গিয়েছি, নিজেরা একে-অন্যকে বলেছি, এটাই আমাদের সেরা সুযোগ। কারণ এটা আমাদের সেরা স্কোয়াড। 

বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, এটা দেখানোর তাড়নাও আছে জ্যোতিদের, ‘আমাদের বিশ্বকাপে আসতেই হতো। কারণ চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও ওয়ানডেতে একটাও পারিনি। আমার মনে হয় এটাই দেখানোর বড় সুযোগ আমরা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’

এমএইচ/এটি