গেল সপ্তাহেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। এবার রোহিত শর্মার দলের আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো তারাও ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো ভারত সফরে এসে।

আজ রোববার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানরা ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ভারতের সামনে। শ্রেয়াশ আইয়ারের দারুণ এক ইনিংসে সে লক্ষ্য অনায়াসেই টপকে গেছে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটের ব্যবধানে তুলে নিয়েছে জয়। তাতেই দুই সপ্তাহে দুটো ভিন্ন প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবাল রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটা আগেই বগলদাবা করে রেখেছিল ভারত। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা তাই ছিল নেহায়েতই নিয়মরক্ষার। তবে শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার। এমন এক ম্যাচে টসে জেতেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। নেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত।

তবে তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। প্রথম ওভার থেকেই বিপর্যয়ের শুরু। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে ফেরেন দানুশকা গুনাথিলাকা। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। আবেশ খানের করা পরের ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাও ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এক ওভার বিরতি দিয়ে চারিথ আসালঙ্কাও শিকার হন আবেশের। ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা।  

নবম ওভারে জানিথ লিয়ানাগেও ফেরেন সাজঘরে। এরপর দীনেশ চন্দিমালকে সঙ্গে নিয়ে শানাকা চেষ্টা করেছিলেন বিপদ সামাল দেওয়ার। তবে চন্দিমাল তাকে খুব বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি, ২২ রান করে ফেরেন ইনিংসের ১৩তম ওভারে, লঙ্কান স্কোরবোর্ডে তখন রান মাত্র ৬০।

এরপর চামিকা করুনারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে পালটা আক্রমণে বিপদ সামলান লঙ্কান অধিনায়ক। খেলেন ৩৮ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তাতেই লঙ্কানরা ইনিংস শেষ করে ১৪৬ রান তুলে।

জবাবে ভারতও রোহিত শর্মাকে হারিয়েছে শুরুতেই। তবে শ্রেয়াশ আইয়ার আর সাঞ্জু স্যামসন পাওয়ারপ্লেতে তুলে ফেলেন ৫০ রান। তাতেই ভারতের কাজটা সহজ হয়ে যায় আরও।

পাওয়ারপ্লের ঠিক পর সাঞ্জু ফেরেন, কিছু পরে দীপক হুডাও। তবে এক পাশ আগলে রেখে শ্রেয়াশ দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন। তাই অপর দিকে একের পর এক সঙ্গীর আসা-যাওয়াতেও সমস্যা হয়নি দলটির।

শেষমেশ শ্রেয়াশ অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৭৩ রান করে। ভারতও ৬ উইকেটের অনায়াস এক জয় তুলে নেয়। সিরিজটা ৩-০ ব্যবধানে জিতেই শেষ করে রোহিত শর্মার দল।

এনইউ