ইংল্যান্ডকে জিততে দিলো না উইন্ডিজ
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড ৩১১, ৩৪৯/৬ ডিক্লে. (ক্রলি ১২১, রুট ১০৯; জোসেফ ৭৮-৩, রোচ ৫৩-২)
উইন্ডিজ ৩৭৫ ও ১৪৭/৪ (বোনার ৩৮, হোল্ডার ৩৭; লিচ ৫৭-৩)
ফলাফল: ম্যাচ ড্র।
ম্যাচসেরা: এনক্রুমাহ বোনার।
মূলত ম্যাচের যা উত্তেজনা ছিল, ফলাফলের সম্ভাবনা ছিল, সব ধুয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনের বৃষ্টিতেই। তবু শেষ দিনে একটা ফলাফল বের করার দারুণ এক চেষ্টা করেছিল ইংল্যান্ড। উইন্ডিজকে ছুঁড়ে দিয়েছিল ৭০ ওভারে ২৮৬ রানের লক্ষ্য। এক পর্যায়ে আশা জাগিয়েছিল জয়েরও। তবে ইংলিশদের জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এনক্রুমাহ বোনার আর জেসন হোল্ডার। দু’জনের ব্যাটে ভর করে ইংলিশদের জিততে দেয়নি উইন্ডিজ।
চতুর্থ দিনে বৃষ্টি তো ছিলই, উইকেটের প্রকৃতিও ম্যাচের ফলাফল বের করার পক্ষে কথা বলছিল না খুব একটা। তবে অ্যান্টিগার ধীরগতির, নিচু বাউন্সের উইকেটে পঞ্চম দিনের সকালটাই হিসেব দিলো বদলে। অধিনায়ক জো রুট পেলেন ২৪তম সেঞ্চুরির দেখা, যার ফলে তিনি উঠে এসেছেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির তালিকাতে দ্বিতীয় স্থানে। সঙ্গী হিসেবে তিনি পেয়েছেন ড্যানিয়েল লরেন্সকে, যিনি দ্রুত রান তুলে অধিনায়কের সঙ্গে মিলে দলের লিডটাকে নিয়ে গেছেন বহুদূর। তাতেই সফরকারীদের জয়ের আশা জ্বলে উঠল আবার।
বিজ্ঞাপন
আগের দিন জ্যাক ক্রলির সেঞ্চুরিতে উইন্ডিজকে একরাশ হতাশাই উপহার দিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ক্রলিকে শনিবার দিনের শুরুতেই হারিয়ে বসে দলটি। তবে রুট ছিলেন ক্রলির অভাবটা বুঝতেই পারেনি সফরকারীরা। লরেন্সকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এনে দেন দারুণ এক পুঁজি। ২৮৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক রুট।
দুই সেশন হাতে রেখে ইংলিশরা স্বাগতিকদের সামনে একটা চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছিল। তবে উইন্ডিজ শুরু থেকেই সে চ্যালেঞ্জ থেকে ছিল নিরাপদ দূরত্বে। জন ক্যাম্পবেল আর ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট মিলে সেটা করছিলেনও ২৫ ওভার ধরে। দারুণ ভাবে সামলেছেন ইংলিশ বোলিং আর জো রুটের উদ্ভট ফিল্ড সেটআপকে। তবে এরপরই বেন স্টোকসের অস্বাভাবিক নিচু এক বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ব্র্যাথওয়েট। জ্যাক লিচের পরের ওভারেই যখন ফিরলেন ক্যাম্পবেল, তখন মনে হচ্ছিল এই বুঝি ক্যারিবীয়দের ভাঙনের শুরু।
বিজ্ঞাপন
চা বিরতির আগে পরে ফিরলেন শামরাহ ব্রুকস আর জেরমাইন ব্ল্যাকউড। তাতে অধিনায়ক রুটের আশার পালে লাগে জোর হাওয়া। তবে তার দলের পথটা শেষ সেশনে আগলে দাঁড়ান প্রথম ইনিংসেও তাদের ভোগানো বোনার আর হোল্ডার। প্রথম ইনিংসে বোনার করেছিলেন সেঞ্চুরি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সময়ের চাহিদা মিটিয়ে পড়ে ছিলেন মাটি কামড়ে, ৩৮ করেছেন ১৩৭ বলে। হোল্ডারও অভিজ্ঞতার খেল দেখিয়ে সঙ্গ দিয়েছিলেন দারুণভাবে, ৩৭ রান করেছেন ১০১ বল ঠেকিয়ে। দু’জনের ব্যাটে চড়েই দারুণ এক লড়াকু ড্র আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসে দারুণ ব্যাট করে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা বগলদাবা করেন বোনার।
এনইউ