বাংলাদেশের মেয়েরা জানে ‘আমরা পারি’
ম্যাচ তখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানের হাতে। বিসমাহ মারুফকে ফিরিয়ে কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেন জাহানারা আলম। এরপর ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওভারটা করলেন ফাহিমা খাতুন। এক ওভারেই তিনি নিলেন তিন উইকেট। শেষ অবধি সোমবার বাংলাদেশ নারী দল পেল ৯ রানের ঐতিহাসিক এক জয়।
এই ম্যাচ দলকে কতটা অনুপ্রেরণা দেবে, ম্যাচ শেষে বলছিলেন ফাহিমা, ‘আমি আশাবাদী বিগত দুই ম্যাচে যেমন খেলেছি, আজকে যেমন ফাইটিং ম্যাচ খেলেছি। আমাদের জন্য এটা বড় প্রভাব ফেলবে। দলের মেয়েরা উজ্জ্বীবিত আছে যে আমরা পারি। আমার দলের উদ্দেশ্যে হচ্ছে দল হিসেবে পারফর্ম করা। পাকিস্তানের সঙ্গে জেতাটা আমাদের সবসময় উজ্জ্বীবিত করে। ইন শা আল্লাহ ভবিষ্যতে এটা আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’
বিজ্ঞাপন
এশিয়া কাপেও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। হারাল এবার বিশ্বকাপে। দুই ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ফাহিমা। এটা বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে তাকে। ফাহিমা বলছেন, এই জয় মেয়েদের ক্রিকেটে বড় প্রভাব ফেলবে। আত্মবিশ্বাসী ধারাবাহিক পারফর্ম করার ব্যাপারেও।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি এটা বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেটে বড় প্রভাব ফেলবে। এশিয়া কাপে যখন জিতেছি পাকিস্তানের বিপক্ষে। আমার জন্য বড় পাওয়া ওই সময়ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছি, আজকেও হলাম। আমি চেষ্টা করবো ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে ও দলে অবদান রেখে যেতে। সেটা রান করে হোক, বল করে অথবা ফিল্ডিংয়ে।’
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপ থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে যেতে চাই বাংলাদেশ। ফাহিমা বলেছেন, ‘যেহেতু এটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ। আমরা চাই এখান থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে যাওয়ার। আমাদের ব্যক্তিগত ও দলীয় পরিকল্পনা এটাই। কারণ আমরা অনেক কষ্ট করেছি শেষ কয়েক মাস বিশ্বকাপে ভালো ক্রিকেট খেলতে। সেদিকেই আমরা হাঁটছি।’
এমএইচ/এটি