দারুণ জয় এসেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বোলিংয়েও আশাটা বেড়েছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। মাঝে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ফারজানা হক লড়াই চালালেও ফিরে গেছেন দুজনেই। বাংলাদেশ নারী দলকে চেপে ধরেছে ক্যারিবীয়ান নারীরা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। জয়ের জন্য ১৩ ওভারে ৪৯ রান দরকার। ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার শামীমা সুলতানা। ২৫ বলে ১৭ রান করেন আরেক ওপেনার শারমিন আক্তার। 

এর আগে মাউন্ট মঙ্গুনইতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংয়ের ফলও বাংলাদেশ পেয়ে যায় দ্রুতই। ক্যারিবীয়নদের দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট যায়।

২০ বলে ১৭ রান করা দিয়েন্দ্রা ডটিনকে সাজঘরে ফেরত পাঠান জাহানারা আলম। আরেক ওপেনার হেইলি ম্যাথিউসকেও ৪৩ বলে ১৮ রান করার পর আউট করে দেন নাহিদা আক্তার। দুই ভয়ঙ্কর ওপেনারের ফেরার পর কাজটা সহজ ছিল মেয়েদের। ওই পথে এগোচ্ছিলও ভালোভাবে।

১৭ বলে ৪ রান করা অধিনায়ক স্টেফেনি টেইলরকেও ফেরায় বাংলাদেশ। ৭০ রানে ৭ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ১০০ এর আগেই ক্যারিবীয়ানদের অলআউট করার সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে।

কিন্তু শেমাইন ক্যাম্পবেলের জন্য সম্ভব হয়নি সেটি। অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাফি ফ্লেচারের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১০৭ বলে ৫৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিতও থাকেন তিনি। ১৪০ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।