অপু-হাফিজের বোলিংয়ের পর মোহামেডানকে প্রথম জয় এনে দিলেন সৌম্য
বিগ বাজেটের দল গড়েও শুরুতেই হোঁচট খায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শাইনপুকুর কাছে হেরে যায় ঐতিহ্যবাহী দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাদা-কালো শিবির। বল হাতে নাজমুল ইসলাম অপু আর মোহাম্মাদ হাফিজের ঘূর্ণির পর ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকারের অর্ধশতকের কল্যাণে খেলাঘর সমাজ কল্যাণকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের বোলারদের বোলিং তোপে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি খেলাঘর। ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। অপু ১০ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২৪ রান দিয়ে হাফিজের শিকার ৩টি। পরে সৌম্যর ১০০ বলে ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংসের কল্যাণে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
বিজ্ঞাপন
এদিন খেলাঘরের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ আর প্রীতম কুমার দলকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন। তবে ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রীতমকে ৭ রানে ফিরিরে মোহামেডানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন অপু। এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৫৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। ইফতেখার সাজ্জাদ ২৪ ও অমিত হাসান করেন ২১ রান। এ ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রানের ঘর পেরোতে পারেননি। এতে ৪৯ ওভারে ১৪৮ রান করতেই সবকটি উইকেট হারায় খেলাঘর।
১৪৯ রানের ছোট্ট লক্ষ্য টপকাতে নেমে মোহামেডানের শুরুটাও ভালো হয়নি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হোসেন আলীর বোলিং তোপে পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার আর হাফিজ। তৃতীয় বলে শর্ট মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন রনি, দৌড়ে এসে নিজেই ধরেন হোসেন। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। পরের বলে হাফিজ এসেই পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ইফতেখার সাজ্জাদের হাতে। আগের ম্যাচে ৪ রান করা এই পাকিস্তানি আজ রানের খাতা খুলতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
পারভেজ হোসেন ইমন ৩৬ আর আরিফুল ইসলাম ৩০ রান করে আউট হলেও মন্থর ব্যাটিংয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন সৌম্য। ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি। ধীরগতিতে ব্যাটিং করা সৌম্য ফিফটি পেয়েছেন ৯২ বলে ১টি মাত্র চারের মারে। সালমান হোসেন ইমনের করা ইনিংসের ৪১তম ওভারের প্রথম বলে লং অনে চার মেরে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
যদিও জয় থেকে মোহামেডান যখন ৪ রান দূরে তখন সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। মাসুম খান টুটুলের বলে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সালমানের হাতে। ১৭ বলে ১৬ রান করেন তিনি। সৌম্যর প্রচেষ্টায় ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
টিআইএস/এনইউ