বলের ফাঁকে আলাপ সারছেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার, কোমরে হাত দিয়ে চেয়ে দেখছেন শান্ত। দুই দলের দেহভাষ্যেই স্পষ্ট প্রথম সেশনের ছবিটা/ছবি: বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তুলল ওয়ানডে গতিতে। প্রথম ঘণ্টায় ১৫ ওভারে উইকেট ‍শূন্য থেকে ৫৫ রান। সেশন শেষে সেটা ৮৪ রান, উইকেট একটি। স্পিনাররা একটু বাড়তি সুবিধা পেলেন ঠিকই, তবে সেটা কাজে লাগাতে পারলেন না ঠিকঠাক। প্রশ্নটা তাই আবার উঠল, একাদশে এক পেসারের সঙ্গে কেন তিন স্পিনার?

চট্টগ্রাম টেস্টে চারদিনের দাপট গুঁরিয়ে গেছে শেষদিনে এসে। কাইল মেয়ার্স বীরত্বে বাংলাদেশ হেরেছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। হারের গ্লানির সঙ্গে যোগ হয়েছিল নানা প্রশ্ন। একাদশে একমাত্র পেসার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ছিলেন চার স্পিনার। সবাই মিলেও ঠেকাতে পারেননি শেষ  দুইদিনে মেয়ার্সের করা ডাবল সেঞ্চুরি। 

চট্টগ্রামের পর মিরপুর। একাদশের চিত্র একই। যেন আরও করুণ। একাদশে সেই এক পেসারই, মুস্তাফিজের জায়গা নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। আছেন তিন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। সবচেয়ে বড় বিস্ময়, এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে কেবল চার স্বীকৃত বোলার। 

কিন্তু ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংস শেষে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, একাদশে আদতে এই তিন স্পিনারের কাজ কী? যে উইকেটে খেলা হচ্ছে তার পাশেই কালো পিচ। যেখানে স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকেন বাড়তি। কিন্তু যেটাতে খেলা হচ্ছে, সেখানে তারা পাচ্ছেন না অথবা আদায় করতে পারছেন না সেটা। 

মিরাজ, তাইজুল আর নাঈম কেউই সেভাবে স্পিন বিষে ভয় ধরাতে পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম যে ঘটনা, সেটা ঘটিয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহী। জন ক্যাম্পবেলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন, আম্পায়ার আঙ্গুলও তুলেছিলেন। যদিও ক্যাম্পবেল বেঁচে গেছেন রিভিউতে। 

এরপর অবশ্য উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তবে তাতে দায়টা ক্যাম্পবেলেরই বেশি। সুইপ করতে গিয়ে দিয়েছেন নিজের উইকেট। বাকি গল্পটা নির্বিষ বোলিংয়ের। নিয়মিত শর্ট বল, টার্ন নেই, বাড়তি যেটুকু বাউন্স পাওয়া যাচ্ছে, সেটাও কাজে লাগাতে পারছেন না ঠিকঠাক। 

সৌম্য সরকার স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছিলেন এই ম্যাচের ঠিক আগেই। একাদশেও সুযোগ মিলেছে তার। টুকটাক মিডিয়াম পেস করতে পারেন তিনি। বাংলাদেশ সেটাও কাজে লাগায়নি। প্রথম সেশনের ২৯ ওভারে রাহী হাত ঘুরিয়েছেন কেবল সাত ওভার। সময় গড়ানোর সঙ্গে ক্রিজে ফাটল ধরলে ভুগতে হবে বাংলাদেশকেই। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে হবে মুমিনুল হকদের। এমন পিচে প্রথম দিনে প্রথম সেশন শেষে তাই প্রশ্ন উঠছে, চার বোলারের একাদশে তিন স্পিনারের কাজ কী?

এমএইচ/এনইউ/এটি