বোর্ড প্রেসিডেন্টের সামনে তিন নির্বাচক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী/ ছবি: সংগৃহীত

কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে আছে। আগের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে তৃতীয় নির্বাচক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। অচিরেই দায়িত্ব বুঝে পাবেন তিনি। তার আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এসেছিলেন এ বাঁহাতি স্পিনার। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলাপ শেষে ঢাকা পোস্টকে রাজ্জাক জানালেন, নির্বাচকের চেয়ারে বসার আগে ঘোষণা দিয়েই মাঠের ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন তিনি।

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ দলের স্পিন বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজ্জাক। তবে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে আছে। সেই সিরিজেও তিনি দলে ফিরেছিলেন ৪ বছর পর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাকা থামকে গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজ্জাকই সর্বেসর্বা। ১৩৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচের সঙ্গে ২৮০টি লিস্ট এ ও ৯০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। যেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা ৬৩৪টি। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সবার ওপরে বসিয়েছে তাকে।

রাজ্জাকের উপর আস্থা রেখেছে বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় কাটানো এই বাঁহাতি স্পিনারকে নির্বাচকের দায়িত্বে বসিয়েছে টাইগার বোর্ড। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার আগে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার চলমান দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বোর্ডে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই সাক্ষাৎ করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল, প্রধান নির্বাহী নিউজাউদ্দিন চৌধুরী সুজন ও অন্য দুই নির্বাচকের সঙ্গে।

সেখানে তাদের সঙ্গে কি কথা হয়েছে রাজ্জাকের? মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে রাজ্জাক জানালেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বোর্ডে এসেছিলাম। এখানে অনেকের সঙ্গেই দেখা হলো। বোর্ড সভাপতিও ছিলেন। নিজেদের মধ্যে টুকটাক আলোচনা হলো। আমি তো এখনো অফিশিয়ালি যোগ দিইনি। আশা করি দু-একদিনের মধ্যেই দায়িত্ব বুঝে পাবো। সেসব নিয়েই কথা হলো।’

এদিকে নতুন নির্বাচকের চেয়ারে বসার আগে মাঠের ক্রিকেট ছাড়তে হবে রাজ্জাককে। সে সব নিয়েই কি আলোচনায় বসেছিলেন পাপনের সঙ্গে? নাকি চূড়ান্তভাবে নিরবে বৃহস্পতিবারই ক্রিকেটকে বিদায় বলেন দিলেন তিনি? রাজ্জাকের জবাব, ‘এসব বিষয়েই আসলে আলোচনা হলো। তবে আমি এখনো নির্দিষ্টভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। সবার সঙ্গে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেই একটা সিদ্ধান্ত নিবো। তবে যেটিই সিদ্ধান্ত নিই, আপনাদের জানাবো। লুকোচুরি করে কিছুই করবো না, যা করবো ঘোষনা দিয়েই করবো।’

টিআইএস/এটি