ডারবান টেস্টে পাঁচদিনের মধ্যে চারদিন লড়াই করে বাংলাদেশ দল। খেই হারায় পঞ্চম দিনে। সেই ম্যাচটি হারতে হয় ২২০ রানের ব্যবধানে। ওয়ানডে সিরিজ জয়ে পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টেও শক্ত প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছিল সফরকারী বাংলাদেশকে। তবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে খানিক লড়াই করলেও পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে পূর্বের দৈন্যতা ফুটে উঠেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২১৭ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়েছে মুমিনুল হকের দল।

শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৪৫৩ রান জমা করে স্বাগতিকরা। এরপর ব্যাট করতে নেমে ২১৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলোঅন পাড় করতে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন ছিল ২৫৩ রান। সেটি পার করতে না পারায় ফলোঅনে পড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। প্রথম ইনিংসে ডিন এলগারের দল থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে ২৩৬ রানে।

ফলোঅনের শঙ্কা জেগেছিল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলেই। তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিটা জমেছিল বেশ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দুইজন চাপ তৈরি করেন দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। কিন্তু ভিয়ান মুল্ডার তামিমকে ফেরাতেই ধ্বস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেই ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ দল।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের থেকে ৩১৪ রানে পিছিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। ফলোঅন পার করতে আজ প্রয়োজন ছিল ১১৫ রান। মুশফিকুর রহিম ৩০ আর ইয়াসির আলি রাব্বি ৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে বড় পার্টনারশিপও দাঁড় করান। কিন্তু লাভ হলো না তাতে। প্রথম সেশনে ইয়াসির ৪৬ আর অর্ধশতক করা মুশফিক ৫১ রানে আউট হলে আবার ফলোঅনেক শঙ্কা বাড়ে।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানে অলআউট সফরকারীরা। এতে ফলোঅনে পড়তে হয় মুমিনুল বাহিনীকে। যদিও ফলোঅন না করিয়ে নিজেরা রোববার ব্যাটিংয়ে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টিআইএস/এটি