বিকেএসপিতে সাব্বির রহমানের সেঞ্চুরি আর চেরাগ জানির অপরাজিত ৯৫ রানের কল্যাণে সুপার লিগ পর্বে নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৫৫ রানে হারিয়েছেন লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। দুই দলের লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ৩২৫ রান তোলে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। ৩২৬ রানের জবাব দিতে নেমে সাদ নাসিমের সেঞ্চুরিটা কাজে আসেনি। ২৭০ রানে থামে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ইনিংস। এতে ৫৫ রানের জয় পায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

রান করতে যেন ভুলে গিয়েছিলেন সাব্বির। মাঠ আর মাঠের বাইরে মেজাজ হারিয়ে বা অক্রিকেটীয় কাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়াটা যেন ছিল নিত্য সঙ্গী। এই সবের মাসুল দিতে হয় জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতেও একাদশে সুযোগ হারান সাব্বির। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে বানিয়েছেন পাখির চোখ। নিজেকে ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে নেমেছেন। ৩ বছরে অধিক সময় পর অবশেষে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ তিন অঙ্কের স্বাদ পান সাব্বির। এরপর নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে ব্যস্ত, তবুও আসছিল না বহুল প্রত্যাশিত শতকের দেখা। অবশেষে পেলেন সেঞ্চুরি। এটি লিস্ট এ ক্রিকেটে সাব্বিরের চতুর্থ শতক। ৮৮ বলে ৮টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন সাব্বির। পরে আউট হন ১২৫ রানে। ১১১ বলের ইনিংসে সমান ৮টি চার-ছর মারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

সাব্বিরের দিনে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেরাগ জানি। ৬৬ বলে ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন এ ভারতীয়। মাশরাফি করেন ১৭ রান। বাকিরা ব্যর্থ হলেও নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রানের সংগ্রহ পায় লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

৩২৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রূপগঞ্জ টাইগার্স। দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই তাদের পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যান। ষষ্ঠ উইকেটে পাকিস্তানি সাদ নাসিমের সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ ৯২ রানের জুটি গড়েন। শরিফউল্লাহ ৫০ বলে ২৯ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নাসিম অপরাজিত থাকেন ১১৬ রানে। ১০৭ বলের ইনিংসটি সাজান ৯ চার আর ৪ ছয়ে।

তবুও নির্ধারিত ৫০ ওভারে রূপগঞ্জ টাইগার্স থামে ২৭০ রানে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পায় ৫৫ রানের জয়। নাবিল সামাদ ৫টি এবং সঞ্জিত সাহা ২টি উইকেট নেন।

টিআইএস/এনইউ