চলতি আইপিএলটা একটুও ভালো কাটছে না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। টানা ছয় ম্যাচ হেরে বিদায় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে দলটির। সপ্তম ম্যাচে এসে জয়খরা ঘোচানোর একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল যা-ও, ‘ফিনিশার’ মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে এসে শেষ হয়ে গেল সেটাও। তাতে টানা সাত ম্যাচ হেরে বসল রোহিত শর্মার মুম্বাই।

টস ভাগ্যটাও কাল সঙ্গ দেয়নি রোহিতের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় মুম্বাই। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষাণ। এরপর ডিওয়াল্ড ব্রেভিসও ফেরেন অল্প রানেই। সূর্যকুমার যাদব প্রতি আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ৩২ রান তোলেন, ফেরেন এরপরই। 

নিয়মিত বিরতিতে সতীর্থের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে তিলক ভার্মা খেলে ফেলেন ৫১ রানের এক ইনিংস। অপর দিকে হৃত্বিক শোকীন, আন্তর্তজাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া কাইরন পোলার্ড ও জয়দেব উনাদকাট তাকে কিছুক্ষণ যোগ্য সঙ্গ দেন। ফলে মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১৫৫ রানের জুটি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে চেন্নাইও। অল্প রানেই বিদায় নেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর মিশেল স্যান্টনার। রবিন উথাপ্পা ও আম্বাতি রাইডুর ৫০ রানের জুটিতে পরিস্থিতিটা সামাল দেয় চেন্নাই। তবে ব্যক্তিগত ৩০ রানে উনাদকাটকে বড় শট খেলতে গিয়ে বিদায় হন উথাপ্পা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এক পর্যায়ে ১০৬ রানে হারায় ৬ উইকেট, তখন ১৬তম ওভার চলছিল। তাতে মনে হচ্ছিল দলের হাত ফসকে জয়টা বুঝি বেরই হয়ে গেল, আর তাতে মুম্বাইয়ের প্রথম জয়ের আশাটাও বাড়ছিল ক্রমেই। 

এখনই শুরু ধোনি-জাদুর। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। উনাদকাটের সেই ওভারে দু’টি চার ও একটি ছক্কা মারেন ধোনি। তাতেই জয়টা এসে ধরা দেয় চেন্নাইয়ের হাতে। আর মুম্বাই টানা সপ্তম ম্যাচে হারের গ্লানি সঙ্গী হয় মুম্বাইয়ের।

এনইউ