দিনের অপর ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের কাছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ হারায় সমীকরণ খুবই সহজ হয়ে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জন্য। প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে মুখোমুখি ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উল্লাসে মাততে পারতো অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দল। তবে সে অপেক্ষা আরো দীর্ঘায়িত হলো শেখ জামালের। তামিম ইকবালদের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে জামাল।

সাভারের বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করে নুরুল হাসান সোহানের ফিফটি আর মেহেদী হাসান মিরাজের ৩২ বলে ঝড়ো ৪৭ রানের সুবাদে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৩২ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। ২৩৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে তামিম ইকবালের ৯০ আর এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন দিপুর ফিফটিতে ৮ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক।

লক্ষ্য টপকাতে নেমে তামিম-বিজয় শুরু করেন দুর্দান্ত। ফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিজয় এ ম্যাচেও ফিফটির দেখা পান। ৪৮ বলে অর্ধশতকের দেখা পান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৫২ রানে ফেরেন সানজামুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে। ১২১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। 

বিজয় ফিরলেও তামিম ছিলেন অবিচল। শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে এগোতে থাকে। চার-ছয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। ৫৭ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসটি নিয়ে হাঁটছলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু নব্বইয়ের ঘরে থামতে হয়। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের ভিত পেয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। 

৮৫ বলে ৯০ রান করেন তামিম। পারভেজ রসুলের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন তামিম। ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে ছাড়তে হয় মাঠ। ১০টি চার ও ৪টি দারুণ ছয়ে সাজিয়েছিলেন এই ইনিংস। তামিম আউটের পর মোহাম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে খেলা শেষ করে আসেন দিপু। ৫৫ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন দিপু। আর মিতুন অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে।  ১টি করে উইকেট নেন সাইফ হাসান ও পারভেজ রসুল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। প্রাইম ব্যাংকের স্পিনার রাকিবুল হাসানের জোড়া আঘাতে ফেরেন মুশফিকুর রহিম আর তাইবুর রহমান। দলটি ৮৬ রান না হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১৫ আর মুশফিক ফেরেন ১৪ রান।

দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত শতকে দলকে জেতানো সোহান। এবারও ত্রাতা হয়ে আসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পারভেজ রসুলকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে পার্টনারশিপ গড়ার পথে ৮৮ বলে ফিফটির দেখা পান সোহান। উইকেট পেতে মরিয়া প্রাইম ব্যাংক এনামুল হক বিজয়কে দিয়ে বাজিমাত করে। ৩৭ রানে রসুলকে ফেরান বিজয়, মিথুনের হাতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে। ভেঙে যায় ৫৯ রানের জুটি। 

সোহান দারুণ ব্যাটিং করেও থামেন ৭১ রানে। আর শেষ দিকে মিরাজের ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২৩২ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

টিআইএস