চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারছেন না তাসকিন আহমেদ। আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে তার খেলা নিয়েও এবার সৃষ্টি হয়েছে সংশয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম টেস্টে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি, এরপর চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজেও খেলা হয়নি তার।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ সোমবার ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, এই চোট থেকে সেরে ওঠার জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় লেগে যেতে পারে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। এই প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২০ কিংবা ২২ মে। 

বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের ভাষ্য, ‘আগামী চার সপ্তাহের জন্য আমরা প্রথাগত ব্যবস্থাপনা নিতে যাচ্ছি, আর দেখতে চাচ্ছি কী হয়। পুরো সিরিজটা মিস করবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সেই সিরিজের এক মাস আগে আমরা বলতে পারি না সে সেই সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছে কি না। জুনের প্রথম সপ্তাহে দল দেশ ছাড়বে। তখন হয়তো সীমিত ওভারের ম্যাচের জন্য আমরা তার অন্তর্ভুক্তির কথা ভাববো।’

আগামী ৬ জুন দুই টেস্ট, আর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ দল ঢাকা ছাড়বে। খসড়া সূচি বলছে, অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টটা শুরু হবে আগামী ১৬ জুন। এরপর সেন্ট লুসিয়ায় ২৪ জুন শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। 

সম্প্রতি লন্ডনে কাঁধের পরীক্ষা করিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তাসকিন। এরপর তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, কখন ফিরব সেটা আঁচ করার সময় এখনো হয়নি। কারণ সবকিছু নির্ভর করবে আমার উন্নতির ওপর। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব মাঠে নামতে চাই আমি।’

দেবাশীষ জানিয়েছেন, চোট থেকে সেরে ওঠার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্থায়ী হবে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। ২২ মে শুরু হলে যা শেষ হতে হতে অন্তত জুনের পুরো সময়টা লেগে যাবে। সে কারণেই ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট খেলা হবে না তাসকিনের।

তবে ওয়ানডে সিরিজে খেলা নিয়ে আশাবাদ আছে বেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলের খেলা শুরু হবে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। খসড়া সূচি অনুসারে, ডমিনিকায় সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ ও ৩ জুলাই, এরপর ৭ জুলাই সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলা হবে গায়ানায়। ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই সিরিজের তিন ওয়ানডেও খেলা হবে গায়ানাতেই।

এনইউ/এটি