মুমিনুল হক নিশ্চিত করেই অনুপ্রাণিত হতে পারেন জো রুটকে দেখে! যিনি তারই মতো সদ্য ছেড়েছেন নেতৃত্ব। নির্ভার হয়ে খেলতে নেমেই হাসল তার ব্যাট। তুললেন শতরান। তার পথ ধরেই লর্ডস টেস্ট চতুর্থ দিনেই জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্য রোববার ৫ উইকেট হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলল স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংলিশরা।

জো রুটের সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত। অধিনায়কত্ব ছেড়ে ব্যাটিংয়ে যেন নতুন জন্মই হলো তার।  লর্ডসে আরেকটি টেস্ট শতরান তুললেন। ২৬তম সেঞ্চুরিতে জেতালেন দলকে। এদিনই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন সদ্য সাবেক অধিনায়ক। 

রোববার দলকে জিতিয়ে ১৭০ বল খেলে ১২ চারে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন রুট। তাকে সঙ্গ দিয়ে ৯২ বল খেলে ৩ চারে ৩২ রানে অপরাজিত বেন ফকস। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ১২০ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসও বেশ লড়লেন। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করে ফেরেন স্টোকস। 

রোববার টেস্টের চতুর্থ দিন জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ৬১ রান। নিউজিল্যান্ডের জিততে চাই ৫ উইকেট। এ অবস্থায় লর্ডসের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল ইংলিশ সমর্থকদের মনে। কারণ দ্বিতীয় নতুন বল থেকে কিউইদের হাতে আসতো ১৫ ওভার পরই। এ অবস্থা ঝুঁকি নেন নি  রুট ও ফোকস। ১৩.৫ ওভার খেলে ইংল্যান্ডকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। 

সেঞ্চুরি আর ক্যারিয়ারে ১০ হাজার রান পূর্ণ করার দিনে দলকেও জেতালেন রুট। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সময়ের হিসাবে দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার রান পূর্ণ করলেন রুট। অভিষেকের পর ৯ বছর ১৭১ দিনে ধরা দিল এই অর্জন। অ্যালিস্টার কুক ১০ বছর ৮৭ দিনে পা রাখেন দশ হাজার রান ক্লাবে।

রুট নেতৃত্ব মুক্ত হয়ে ব্যাটে উড়ছেন। মুমিনুলও নেতৃত্ব ছাড়লেন। সামনেই মিশন উইন্ডিজ। সেখানে কেমন করেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সেটাই এখন দেখার!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৩২/১০
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৪১/১০
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ২৮৫/১০
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৭৭) ৭৮.৫ ওভারে ২৭৯/৫ (রুট ১১৫*, ফোকস ৩২*; বোল্ট ১/৭৩, জেমিসন ৪/৭৯)
ফল: ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : জো রুট

পরবর্তী টেস্ট: ১০ জুন, নটিংহ‍্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে 

এটি