নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে খানিক লড়াই করে উইন্ডিজের সামনে ৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। অথচ এমন ম্যাচেও শেষদিকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশ। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে স্বাগতিকদের একপাশ থেকে চেপে ধরেন মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যপাশ দিয়ে টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন খালেদ আহমেদ। দিনের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলেছে উইন্ডিজ।

প্রথম ইনিংসেও আলো ছড়িয়েছেন পেসাররা। তিন পেসারের ধারাবাহিক লাইন-লেংথে সুবিধা করতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। রান চাপানোর কাজটা ভালোভাবেই করেন এবাদত হোসেনরা। তারই ফায়দা নেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ২৬৫ রানে। বোলারদের পারফরম্যান্সে গর্বিত হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে খালেদ আহমেদ আর প্রায় দেড় বছর পর টেস্টে ফেরা মুস্তাফিজের কাছে আরো চাওয়া তার।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘বোলাররা সবাই দুই ইনিংসেই দারুণ বোলিং করেছে। প্রথম ইনিংসে আমার দেখা ওদের সেরা বোলিংটাই করেছে। এই উইকেটে ২৬০ রানে আটকে রাখা সহজ কথা নয়। গত দুই দিন বোলাররা যেমন পারফরম করেছে তাতে আমি খুবই গর্বিত।’

প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের মূল দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান খালেদ। সেঞ্চুরির পথে ছোটা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোকা বানিয়ে আউট করেন ৯৪ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা জার্মেইন ব্ল্যাকউডকেও নিজের শিকার বানান তিনি। সব মিলিয়ে ২২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৯ রান দিয়ে নেন মূল্যবান ২ উইকেট। যেখানে মেডেন ৪টি।

দ্বিতীয় ইনিংসে আরো বিধ্বংসী খালেদ। নিজের করা প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। এতে ধসিয়ে দেন প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার। মরা ম্যাচেও প্রাণের সঞ্চার ঘটান তিনি। তবুও খালেদের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি তৃপ্ত নন ডমিঙ্গো।

ডমিঙ্গো বললেন, ‘সে তিন উইকেট পেয়েছে। কিন্তু তার উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে। মাঝে মাঝে ভালো বল করেও উইকেট পাবেন না। আবার খুব ভালো না করেও উইকেট পাবেন। এটাই ক্রিকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো বল করেছে, ভালো কিছু উইকেট নিয়েছে। তবে তার উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’

প্রায় দেড় বছর পর টেস্টে ফেরা আলোচিত পেসার মুস্তাফিজকে নিয়ে ডমিঙ্গো মন্তব্য, ‘সে ভালো বল করেছে। কিন্তু আরও কিছু চাই তার কাছ থেকে। তার গতি একটু বাড়াতে হবে। সে অবশ্য খুব বেশি বোলিং করেনি। তবে তার নিয়ন্ত্রণ ভালো ছিল। ভালো সুইং ছিল। তাকে খুব সাবধানে খেলাতে হবে। সে অনেক ক্রিকেট খেলেছে। আরও অনেক খেলতে হবে। তাকে বোলিং করিয়ে মাটিতে মিশিয়ে ফেলা যাবে না। সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন বোলার, বিশেষ করে সাদা বলে।’

টিআইএস/এনইউ