শেষ এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য পাওয়ারপ্লে যেন ছিল ‘না পাওয়ার প্লে’। শুরুর ছয় ওভারে অন্য সব দল যেখানে রান তোলে ঝড়ের বেগে, সেখানে বাংলাদেশের রানের হাপিত্যেশ যেন শেষই হয় না। সে দৃশ্যের অবতারণা অবশ্য আজ হয়নি। সাকিব আল হাসান শুরু থেকেই ছিলেন আগুনে মেজাজে। সঙ্গ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়েরও। তাতেই শেষ এক বছরে টি-টোয়েন্টির পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রানটা তুলল বাংলাদেশ।

শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। বৃষ্টির পর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরুতে হচ্ছিল দেরি। অপেক্ষা শেষে যখন টসটা হলো, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ হেরে বসেন সেখানে। আদ্র উইকেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ উইকেট হারায় শুরুতেই। ৩ বলে ২ রান করে আকিল হোসেইনের শিকার হয়ে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার যখন ফিরছেন, তখন পাওয়ারপ্লেতে ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরোনো গল্পের পুনরাবৃত্তির শঙ্কাটা অমূলক কিছু ছিল না।

তবে সে শঙ্কাটাকে বাস্তবে রূপ নিতে দেননি ওপেনার এনামুল ও সাকিব। শুরুটা করেছিলেন এনামুল, প্রথম ওভারের শেষ বলে চার মেরে। পরের ওভারে সাকিব মারলেন দুই চার, সে ওভারে ডট গেল না একটি বলও, সিঙ্গেল এলো চারটি। পরের ওভারে সাকিবের এক ছক্কা, এক চার। 

চতুর্থ ওভারে এনামুল এলবিডব্লিউর শিকার হন ওবেদ ম্যাকয়ের বলে। তবে লিটন এসে এরপর সুতোয় ঢিল পড়তে দেননি। তাতে পাওয়ারপ্লের পাঁচ ওভারে ২ উইকেটে ৪৬ রান জমা হয় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম পাঁচ ওভারে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। শেষ ১২ মাস হিসেবে রাখলেও এটাই পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।

এনইউ