গায়নায় ভিন্ন দুই সমীকরণে মাঠে নেমেছে উইন্ডিজ আর বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ ৩৫ রান জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ক্যারিবিয়রা। বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে নেমেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এই ম্যাচ জিতে সিরিজ হার বাঁচানোর।

এমন সমীকরণে আগে ব্যাট করতে নেমে আফিফ হোসেনের ফিফটির সঙ্গে ওপেনার লিটন দাসের ৪৯ রানের অনবদ্য ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা। পরিসংখ্যান অবশ্য সাফাই দিচ্ছে টাইগারদের পক্ষে। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ১৫০ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই।

এদিন টস জিতে একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ওপেনিংয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন লিটন। তবে এদিনও সুবিধা করতে পারেননি এনামুল। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওডিন স্মিথকে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন। বল চলে যায় থার্ডম্যান অঞ্চলে আকিলের হাতে। ১১ বলে ১০ রানে ফেরেন এনামুল।

এনামুলের আউটের পর সাকিব আল হাসান মাঠে এসেই প্রথম বলে চার হাঁকান। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন। পরের ওভারে নিজের খেলা তৃতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দারুণ ক্যাচ ধরেন স্মিথ। ৩ বলে ৫ রান করেন সাকিব। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৪ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রমোশন পেয়ে চারে নামা আফিফকে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন লিটন। দারুণ ব্যাটিংয়ে নিজে ছুটেছিলেন অর্ধশতকের দিকে। তবে ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে আউট হন ৪৯ রানে। স্পিনার হেইডেন ওয়ালশকে এক্সটা কাভারে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মিস টাইমিংয়ে বল চলে যায় পয়েন্টে। ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন আকিল। ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪১ বলে ৪৯ রান করেন লিটন। ভাঙে আফিফের সঙ্গে গড়া ৫৭ রানের পার্টনারশিপ।

পার্টনারকে হারিয়ে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন আফিফ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নতুন জুটি গড়ে হাত খুলে ব্যাট চালিয়ে খেলেন এই তরুণ। তাতে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পেয়ে যান। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে থেকে দৌড়ে ২ রান নেওয়ার পথে রান আউটে কাটা পড়েন। যদিও ১ রান পূর্ণ করার পর ৩৮ বলে অর্ধশতকের স্বাদ পান তিনি। সমান ৫০ রানে আউট হন ২টি করে চার আর ছয় মেরে।

অফিফ আউট হওয়ার ২ বল আগেই সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ১৯তম ওভারে হেইডেন ওয়ালশকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ২০ বলে ২২ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ২ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৬ বলে ১০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৩ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য উইন্ডিজের প্রয়োজন ১৬৪ রান।

টিআইএস/ওএফ