বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল উইন্ডিজ। ভারতের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে সেই অবস্থা থেকে উন্নতি হয়েছে দলটির। প্রথম ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত লড়ে সফরকারীদের কাছে হেরেছিল দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই নিয়তি সঙ্গী হলো ক্যারিবীয়দের। ভারতের ঘাম ঝরিয়েও শেষমেশ হারতেই হলো দলটিকে। অক্ষর পাটেলের ঝোড়ো ৬৪ রানের ইনিংসে ২ উইকেটে জিতল ভারত। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজটা জেতাও নিশ্চিত হয়ে গেল দলটির। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল উইন্ডিজ। শেষ কিছু দিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ শেই হোপ জ্বলে ওঠেন এদিন। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে মিলে পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি। ৯ ওভারেই স্বাগতিকরা তুলে ফেলে ৬৫ রান।

তবে এরপরই ভারতকে ম্যাচে ফেরান স্পিনাররা। দীপক হুডা আক্রমণে এসেই ২৩ বলে ৩৯ রান করা মেয়ার্সকে বিদায় করেন। তিন নামা নামা শামার ব্রুকসও থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন ব্যক্তিগত ৩৫ রানে। তিনি শিকার হন অক্ষর পাটেলের। এরপর ব্রেন্ডন কিংকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান যুজবেন্দ্র চাহাল।

এরপর চতুর্থ উইকেটে শক্ত জুটি পায় উইন্ডিজ। হোপের সঙ্গে অধিনায়ক নিকলাস পুরান দ্রুত রান তুলতে থাকেন। দুজনের ১০৫ বলে ১১৭ রানের জুটিতে বড় রানের দিশা পায় দলটি। ৭৪ রান করে বিদায় নেন পুরান।

তবে হোপ উইন্ডিজের আশার আলো হয়ে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে তিনি যখন ফিরছেন ব্যক্তিগত ১১৫ রানে, তখন উইন্ডিজের রান ৩০০’র কোঠা ছুঁয়েছে কেবল। এরপর শেষ ওভারে ১০ রান তুলে উইন্ডিজ শেষমেশ থামে ৩১১ রানে। ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১২ রানের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল বেশ ধীরগতির। ১০ ওভার শেষে ভারত তোলে মাত্র ৪২ রান। এরপর বিদায় নেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। সঙ্গী শুভমন গিলও বেশি দূর এগোতে পারেননি। পারেননি সূর্যকুমার যাদবও। ভারত তাদের তিন উইকেট খুইয়ে বসে ৭৯ রানে, ওভার তখন চলে গেছে ১৭টি। 

এরপর সাঞ্জু স্যামসন ও শ্রেয়াশ আইয়ারের ৯৪ বলে ৯৯ রানের জুটি পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। তবে এরপরই ভারতকে বিপদে ফেলে বিদায় নেন দু’জনেই। ৩৯তম ওভারে ২০৫ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে ভারত।

শেষ দশ ওভারে দলটির দরকার ছিল ঠিক ১০০ রানের। জয়ের সম্ভাবনাটা ভালোভাবেই উঁকি দিচ্ছিল উইন্ডিজ শিবিরে। তবে শেষমেশ সেটা আর সম্ভব হয়নি অক্ষর পাটেলের ৩৫ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে। শুরুতে দীপক হুডাকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন, তবে ৩৩ রান করে তার বিদায়ের পর অনেকটা একাই লড়ে উইন্ডিজের হাত থেকে ম্যাচটা বের করে আনেন তিনি।

তাতে আরও একবার খুব কাছে গিয়েও হারের গ্লানি সঙ্গী হয় উইন্ডিজের, খুইয়ে বসেছে সিরিজটাও। ২-০ ব্যবধানে পড়েছে পিছিয়ে। নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে আগামী ২৭ জুলাই আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।

এনইউ