অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। বয়সভিত্তিক দলে সম্ভাবনার আলো জ্বেলে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। মাহমুদুল হাসান জয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের ধৈর্যশীল ব্যাটিং আর লম্বা সময় উইকেট আঁকড়ে থাকার সক্ষমতা পাইয়ে দিয়েছে টেস্ট সংস্করণের ক্যাপ। তবে সম্প্রতি জাতীয় দলে ব্যাট হাতে ছন্দহীন এই তরুণ। নিজেকে প্রস্তুত করতে এবার ‘এ’ দলের সঙ্গী হয়েছেন।

জাতীয় দলের হয়ে সদ্য সমাপ্ত উইন্ডিজ সফরে ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে করেন মোটে ৬৫ রান। যেখানে অর্ধশতক নেই কোনো। এবার ‘এ’ দলের হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জেই উড়ে যাচ্ছেন তিনি। সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা আছে জয়ের। তার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই ওপেনার। জয় জানিয়েছেন, উইন্ডিজ সফরটা ভালো যায়নি, সেই আক্ষেপ এবার ঘোচাতে চান।

আরও পড়ুন >> ‘বাংলাদেশে অনেক মাতামাতি, সামলাতে না পারলে খেলতে পারব না’

জয় বলছিলেন, ‘আমি জাতীয় দলের শেষ সফরে অতটা আশানুরূপ ভালো করতে পারিনি। তাই এখানে আমার আরেকটা সুযোগ ভালো করার। আমি চেষ্টা করব ভালো পারফর্ম করার। আমাদের শেষ তিন-চার মাস কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই। সুতরাং আমরা এখানে ২টি চারদিনের ম্যাচ খেলব, এটা আমার জন্য এবং আমার টিমের জন্য অনেক ভালো হবে।’

প্রায় এক মাসের এই সফরে দুটো চার দিনের ম্যাচ আর তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ‘এ’ দল। আগামী ৪ আগস্ট নেমে পড়তে হবে মাঠের লড়াইয়ে। সেন্ট লুসিয়ায় সেদিনই শুরু হবে প্রথম চারদিনের ম্যাচে। সফরের সবকটি ম্যাচের ভেন্যুই সেই সেন্ট লুসিয়া। ১০ আগস্ট থেকে হবে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু সাদা বলের লড়াই। এরপর ১৮ ও ২০ আগস্ট বাকি দুটি এক দিনের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

আরও পড়ুন >> বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশের টুপি পেলেন মুশফিক

‘এ’ দলের সফর হলেও উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ভিন্ন ভাবনা নেই জয়ের, ‘আমাদের দল ভালো আছে। অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন; মিঠুন ভাই, সৌম্য ভাই, সাব্বির ভাই। আমরা আসলে আত্মবিশ্বাসী যে আশানুরূপ ভালো রেজাল্ট হবে।’

সঙ্গে যোগ করেন জয়, ‘আমরা যদি টপ অর্ডার ভালো করি তাহলে আমাদের মিডল অর্ডারের জন্য সহজ হবে ব্যাটিং করা। তাই আমাদের টপ অর্ডারের অনেক বেশি রোল থাকবে যে যদি আমরা সার্ভাইভ করতে পারি তাহলে ভালো রেজাল্ট আসবে।’

টিআইএস/এইচএমএ