পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা বা মাঠের পারফরম্যান্স- সব দিক দিয়ে এগিয়ে থেকেই জিম্বাবুয়ে সফরে যায় বাংলাদেশ দল। তবে এবারের লড়াই কাগজকলমের হিসাবে সীমাবদ্ধ থাকেনি। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজটিও জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আজ বুধবার (১০ আগস্ট) শেষ ম্যাচ জিতে ধবলধোলাই এড়িয়েছে তামিম ইকবালের দল। 

সফরকারী অধিনায়ক মনে করছেন, প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ে জন্যই তাদের হার নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠছে। জিম্বাবুয়ের পরিবর্তে ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলে এমন প্রশ্ন উঠত না বলে জানান তামিম।

শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১০৫ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ হারের প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলে সবাই কিন্তু মেনে নিত। আমি জিম্বাবুয়েকে কোনোভাবেই ছোট করছি না। তারা অবিশ্বাস্যরকম ভালো করেছে। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে এটা বলতে পারি- আমাদের এখনও অনেক কিছু উন্নতি করার বাকি। ওরা যদি এরকম করতে পারে তাহলে নিশ্চয়ই অন্য দলগুলোও করতে পারবে।’

সঙ্গে যোগ করেন তামিম, ‘আমি এখন যে কথাটা বলব এটা হয়ত আপনার পছন্দ হবে না, আবার হতেও পারে। কথাটা চিন্তা করে দেইখেন, ইফ ইট মেইক এনি সেন্স ওর নট। এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যেভাবে হেরেছি, আজ আমরা যদি ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা শীর্ষ র‍্যাঙ্কের কোনো দলের বিপক্ষে হারতাম, অনেক প্রশ্ন উঠত না। কোহলি বা স্মিথ এমন একটা ইনিংস খেলে বসলে আমরা মেনে নিতাম টপ প্লেয়ার এরকম খেলেছে, আমাদের কিছু করার ছিল না।’

তবে সিরিজ হারের জন্য কোনো অজুহাত দাঁড় করালেন না টাইগার অধিনায়ক। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি তার দল। ভালো এবং যোগ্য দল হিসেবেই সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।

তামিম বলেন, ‘যখন একটা দল হারে তখনই উন্নতির কথাটা তুলে নিয়ে আসি। কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের সিরিজ জেতা উচিৎ ছিল। কোনো অজুহাত দিতে পারব না। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলিনি। এই সিরিজে জিম্বাবুয়েই ভালো দল ছিল। ওদের পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে। উন্নতির কথা বললে একঘেয়ে শোনায়। যখনই হারি, এটা করা উচিৎ, ওটা করা উচিৎ।’

এই হারকে শিক্ষা হিসেবে নিচ্ছেন তামিম, ‘এটা আমাদের জন্য বড় এক শিক্ষা। আমি সবসময় বলি- র‍্যাঙ্কিং বড় বিষয় নয়। ওদিন যে দল ভালো খেলে সে-ই জিতবে, সেটা হোক জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে ভালো খেলেছে বলেই ট্রফিটা আজ তাদের হাতে। তাদের সেরা দলটাও ছিল না। দুই পেসার ইনজুরিতে, দুই মূল ব্যাটসম্যান খেলেনি। যারা সুযোগ পেয়েছে তারা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে।’

টিআইএস/এইচএমএ