টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ঘোর দুর্দিন চলছে। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো এতই বিশাল যে রাতারাতি সেগুলোর সমাধান খোঁজাটাকে বোকামি মনে করছেন খোদ জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তবুও এই দুঃসময়েই বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টির দুটি বড় আসরে অংশ নিতে হবে। 

চলতি মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। আর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই দুই আসরেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের খণ্ডকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর সোমবার প্রথম অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজিরে হয়ে বড় কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি তিনি। বরং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসিমুখে আক্ষেপের বুলিই শুনিয়েছেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছিলেন সাকিব। সেখান থেকে ১২ আগস্ট দেশে ফিরেছিলেন তিনি। আর তাই অল্প প্রস্তুতি নিয়েই এশিয়া কাপে যাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘অল্প প্রস্তুতি আমি কখনোই বলব না। আমার যতটুকু দরকার সেটা আমি করি। আমি মিরপুরে এসে তিনদিন ট্রেনিং করেছি। হয়ত এর বাইরেও আমি দশদিন করেছি, মিরপুরে আসিনি। আপনারা যেহেতু মিরপুরে থাকেন, আমি নিশ্চিত বাইরের খবরটা জানেন না। আর আমি অত ভিডিও-টিডিও পোস্ট করি না।’

সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশত্যাগ করবে। ২৭ আগস্ট মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের। আগামী ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন।

এইচএমএ/এটি