এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হারের ফলে বেজে গেছে সাকিব আল হাসানের দলের বিদায়ঘণ্টা। এই ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে লঙ্কান ইনিংসের সপ্তম ওভারে শেখ মেহেদি হাসানের করা নো বলটিকে, ‘বৈধ’ হলে সেই বলেই যে বিদায় নিতেন তখন ২৮ রানে থাকা কুশল মেন্ডিস! সেই তিনি এরপর করেছেন ৩৭ বলে ৬০ রান, যা লঙ্কানদের রেখেছিল রান তাড়ার কক্ষপথে।

এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসান কাঠগড়ায় তুলেছেন একজন স্পিনার হয়ে শেখ মেহেদির করা সেই নো বলকে। তিনি জানালেন, স্পিনার হয়ে এভাবে নো বল করাটা রীতিমতো এক অপরাধই। 

আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ হবে অন্যরকম : সাকিব

নো বল অবশ্য সেই একটাই করেনি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ, এরপর আরও তিনটি নো বল করেছেন বোলাররা, সঙ্গে আছে ৮টি ওয়াইড বলও। আর মেন্ডিসও ‘জীবন’ সেই একটাই পাননি। ইনিংসের শুরুতেই তিনি ফিরতে পারতেন, ব্যক্তিগত ২ রানে তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন, তবে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম তা তালুবন্দিই করতে পারেননি। 

এরপর সপ্তম ওভারে মেন্ডিস আউট হয়েও বেঁচে যান শেখ মেহেদির সেই নো বলের কল্যাণে। সাকিব সেই বল নিয়ে বললেন, ‘কোনো অধিনায়কই চায় না তার বোলাররা নো বল করুক, আর একজন স্পিনার নো বল করছে, বিষয়টা একটা অপরাধ।’

আরও পড়ুন>> ‘আমাকে কেউ বললো না ভাই রিভিউটা নেন’

তবে দলের সামগ্রিক বোলিংকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভোলেননি সাকিব। বললেন, ‘আমরা অনেক বেশি নো বল, ওয়াইড বল করেছি। সেটা মোটেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং নয়। এইসব ম্যাচ হচ্ছে চাপের ম্যাচ, এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, আর সামনের দিকে তাকাতে হবে এখন।’

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোথায় ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বললেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা যে যে সময় আউট হয়েছে, এটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। স্পিনারদের নো বল করাটা অপরাধ, এটাও হতে পারে। এটা আমাদের দেখিয়েছে এমন চাপের মুহূর্তে আমরা ভেঙে পড়ি।’

এনইউ