জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় কাউকে দোষ দিতে চান না সোহান
নুরুল হাসান সোহান। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের সেরা উইকেটরক্ষক খুঁজতে গিয়ে ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই কাজী নুরুল হাসান সোহানকে বেছে নেন। তবে ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কপাল মন্দই বলতে হবে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পাঁচ বছরের পথচলায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মোটে ১৪টি। দীর্ঘদিন দলে সুযোগ পান না সোহান। এজন্য অবশ্য কাউকে দোষারোপ করতে রাজি নন তিনি। কারণ হিসেবে দলীয় সমন্বয়ের কথা বলছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
২০১৬ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে চাপান সোহান। তবে ২০১৮ সালের পর আর লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি তিনি। মাঝে কয়েকবার জাতীয় দলে ডাক পেলেও দলের বাকি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুনদের সঙ্গে পেরে উঠেননি তিনি। একাদশে সুযোগ মেলেনি সোহানের। এজন্য অবশ্য ভাগ্যকে দায় দিচ্ছেন না তিনি। কাঠগড়ায়ও দাঁড় করাতে চান না কাউকেই।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার মিরপুরের সাংবাদিকদের সোহান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় সবার সুযোগ এক রকম আসবে না। অনেক সময় আমি ভালো খেলেও দল থেকে বাদ পড়তে পারি দলীয় সমন্বয়ের কারণে। এভাবেই মাথায় সেট করেছি। দলের জন্য যেটা ভালো হবে। অনেক সময়ই হয় ভালো খেলেও বাদ পড়ছি। এটা দলীয় সমন্বয়ের কারণে হতে পারে।’
তবে যখনই সুযোগ আসুক নিজের সেরাটা নিঙড়ে দিতে চান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, ‘দেখেন এটা (দলে সুযোগ পাওয়া) আসলে আমার চিন্তা করার ব্যাপার না। আমি যেটা বললাম নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। যেখানেই খেলি না কেন ভালো খেলতে চাই।’
বিজ্ঞাপন
টাইগারদের হয়ে এযাবৎ তিনটি টেস্টের সঙ্গে দুইটি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছেন সোহান। এই ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে সর্বসাকুল্য ২৬১ করেছেন তিনি। তবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনোই সাত নম্বর পজিশনের আগে ব্যাট করার সুযোগ পাননি তিনি। ৭, ৮, ৯ নম্বরে ব্যাট করতে হয় তাকে। এজন্য ইনিংস বড় করার সুযোগ পান না সোহান।
মিরপুরে আক্ষেপ লুকিয়ে সোহান বললেন, ‘আমি যেখানে ব্যাট করি ৬,৭ ও ৮ নম্বরে এখানে ১০০ বা ৫০ মারার সুযোগ থাকবে না। এই পজিশন দলকে জেতানোর জন্য। টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডেতে ১০ বলে ২০ রানের একটা ইনিংস বড় অবদান রাখবে দলের জন্য। আমার কাছে এটাই মনে হয় যে পরিস্থিতি আসবে সেটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘হয়তো অন অ্যান্ড অফ, ৭, ৮ নম্বরে খেলে যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি। যখন জাতীয় দলে খেলেছি তখনকার থেকে নিজেকে আরও বেশি পরিণত করতে চেষ্টা করছি। সামনে সুযোগ আসলে সেরাটা দিতে চেষ্টা করব। আর আমার কাছে কোনো আক্ষেপ মনে হয় না যে কোন কিছুতে পরিবর্তন এসেছে। কারণ আমি যখনই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছি আল্লাহর রহমতে পারফর্ম করতেছি। চেষ্টা করতেছি আগের চেয়েও ভালো পারফর্ম করার।’
টিআইএস/এমএইচ