এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, তার দৃষ্টি সামনে। এই বিশ্বকাপ নয়, ২০২৪ সালের বিশ্বকাপকেই ‘বুলস আই’ করেছিলেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটি। তার মুখে উন্নতির নানা ফর্মুলাও উঠে আসে হরহামেশাই। সন্দেহ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরেই একটা কথা বহুল ব্যবহার হচ্ছে যে শব্দটি তা হলো–উন্নতি!
কিন্তু সাকিব আল হাসানকে এসব টানেনা। তিনি বরং এই ফর্মুলায় এখন আর ভাবতেও রাজি না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ১০৪ রানে হারের পর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, উন্নতির ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলাটা তার পছন্দ নয়। কারণ এমন বহুল চর্চিত শব্দটা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে ট্রল হয়! হাসির খোরাক অন্তত বাংলাদেশ অধিনায়ক হতে চান না!
বিজ্ঞাপন
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এদিন ব্যাট-বল দুটোতেই ফ্লপ বাংলাদেশ। কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। আসলে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতা কোথায়? কোথায় উন্নতির প্রয়োজন? কেন পারছে না দল?
এমন প্রশ্নের আগে উঠে আসে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটও। যেখানেও রান ফোয়ারা ছুটে না। রান তাড়া করতে গিয়েও পারে না দলগুলো। তাহলে সমস্যাটা ঘরোয়া ক্রিকেটের চর্চা না থাকাতেও। সাকিব বলছিলেন, ‘কারণ বের করতে গেলে অনেক কারণই আসে। এমন না যে আগে আমরা বড় রান করিনি বা করার কোন সুযোগ নেই। বিশেষত অস্ট্রেলিয়াতে, আজকে সিডনির উইকেটটা খুব ভালো ছিল। আমরা আরও অনেক ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম। যেটা আগেই বলেছি, ব্যক্তিগতভাবে আমি হতাশ। এখানে ভালো ব্যাটিং ডিসপ্লে শো করার ছিল। এমন বলছি না ২০০ রান তাড়া করে ফেলতাম।’
বিজ্ঞাপন
তবে নিজের মনে স্বান্তনাও নিচ্ছেন সাকিব। কারণ ২০ ওভারের ক্রিকেট তো এমনই। বলছিলেন, ‘আমাদের অনেক ভালো একটা শুরু ছিল। প্রথম দুই ওভারে আমরা যেমন শুরু করেছি, সবাই দুই ওভার দেখার পর ভেবেছে কিছু একটা হতে পারে। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির দিক অনেক বেশি, এখানে উন্নতি করতে হবে। যদিও বারবার উন্নতির কথা বলতেও আমার এত বেশি ভালো লাগে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন। আমি আশা করি এই দল আরও ভালো পারফর্ম করতে ক্ষমতা রাখে।’
তবে এই হার নিয়ে আর থাকতে চান না সাকিব। চোখ তার সামনে, ‘দেখুন হারলে তো খারাপ লাগবে স্বাভাবিক, আমাদের দুইদিন পর আরও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। তাই আজকের ম্যাচ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের সামনের জন্য প্ল্যানিং করতে হবে। খেলাটা অনেক এক্সাইটিং, এন্টারটেইনিং; তাই এরকম পরিস্থিতি আপনাকে মেনে নিতে হবে। আমাদের সামনে আরও তিন ম্যাচ আছে, আশা করি সবাই ভালো করবে।’
হাতে সময় নেই। ৩০ অক্টোবর বিশ্বকাপের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের। ব্রিসবেনে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। যে ম্যাচটাতেই এখন চোখ সাকিবের। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে যেখানে ভাল করতেই হবে। সেই ভাল একটা দিনের অপেক্ষায় সাকিব!
এটি/এনইউ