সেই ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান জিতেছিল শিরোপা। এরপর থেকে একে একে কেটে গেছে ১৩টি বছর, কিন্তু শিরোপা তো না-ই, ফাইনালও খেলতে পারেনি দলটি। সেই আক্ষেপ এবার ঘুচিয়েছে পাকিস্তান। শেষ চারে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।

এই ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড শুরুতেই পড়ে পাকিস্তানের তোপের মুখে। ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে কিউই শিবিরে আঘাত হানেন শাহিন আফ্রিদি।

এরপর কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটে নিউজিল্যান্ড প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। তবে ডেভন কনওয়ে আর গ্লেন ফিলিপসকে হারিয়ে এরপর আরও বিপদে পড়ে যায় দলটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন ড্যারিল মিচেল।

উইলিয়ামসন ফিফটির আগে ফিরলেও মিচেল তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। তাতে ভর করেই নিউজিল্যান্ড পায় ১৫২ রানের লড়াকু পুঁজি।

১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান প্রথম উইকেটটা শুরুর ওভারেই খুইয়ে বসতে পারত। কিন্তু বাবর আজমের ক্যাচটা হাতে জমাতে পারেননি কনওয়ে, বেঁচে যান পাকিস্তান অধিনায়ক।

পরের গল্পটা কেবলই নিউজিল্যান্ডের হতাশার। বাবর আর রিজওয়ান মিলে ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলেন ১০৫ রান, যে জুটি ভেঙে যেতে পারত কোনো রান তোলার আগেই!

ফিফটি ছুঁয়ে বাবর আজম ফেরেন এরপর। সঙ্গী রিজওয়ানও ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন বাবরের বিদায়ের পরই। 

দুজনকে ফিরিয়ে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের খানিকটা আশা জেগেছিল। 

তবে সে আশা গুঁড়িয়ে দেন মোহাম্মদ হারিস। ২৬ বলে ৩০ রানের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকেই। 

জয় থেকে একটু দূরে হারিস ফেরেন মিচেল স্যান্টনারের শিকার হয়ে। তবে তাতে পাকিস্তানের জয়টা আটকে থাকেনি। ৭ উইকেটের জয় নিয়ে ২০০৯ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখে দলটি। আর গতবারের রানার্স আপরা এবার বিদায় নেয় এক ধাপ আগেই। 

এনইউ