বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়ে ইংল্যান্ডের শিরোপাবঞ্চিত হওয়ার স্বভাবটা বেশ পুরোনো। শুধু ওয়ানডে বিশ্বকাপেই তিনবার শিরোপার কাছে গিয়েও মুকুট ছোঁয়া হয়নি ইংলিশদের। আক্ষেপের খেরোখাতা আরেকটু ভারী হতে পারতো যদি না ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বেন স্টোকস থাকতেন। 

ঘরের মাঠের সে বিশ্বকাপ ফাইনালে অনেকটা হারতে হারতে জিতেছে ইংল্যান্ড। আর ফাইনালে মরগানদের নিভু নিভু আশাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার নায়কটা ছিলেন স্টোকস। প্রায় তিন বছর পর আবারও তাদের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক সেই স্টোকসই! নিউজিল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ইংলিশ এ খেলোয়াড় রোববার মেলবোর্নের মাঠে জন্ম দিলেন এক ইতিহাসের। ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বারের মতো বানালেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। 

শিরোপার মঞ্চে স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটা যেন তার কাছে ডাল-ভাতের মতো। পাকিস্তানের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পেসারদের সামনে যখন সবাই দিশেহারা, তখন একা লড়েছেন স্টোকস। তবে শুধু লড়েননি, উইকেট আগলে রেখে দলকে এনে দিয়েছেন লক্ষ্য তাড়ার ভিত্তি। আর শেষদিকে মারকুটে ব্যাটিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দলকে ম্যাচটা জিতিয়েছেন ৫ উইকেটে।  

মেলবোর্নের ফাইনালে রোববার শুরুতে অবশ্য বেশ আনকোরা ছিলেন স্টোকস। পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে যেন টাইমিংই করতে পারছিলেন না পরীক্ষিত এ ব্যাটার। তবুও ভুল শট খেলে উইকেট উপহার দেননি প্রতিপক্ষকে। নিজের উইকেট আগলে রেখে রান করেছেন লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। 

শেষদিকে যখন ২৬ বলে ৩৮ প্রয়োজন ইংল্যান্ডের, তখন হুট করে দুটো বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন স্টোকস। পরের ওভারে মইন আলীর মারকাটারি ব্যাটিংয়ে জয়টা হয়ে যায় আরও সহজ। শুরুতে ধীরগতির ইনিংস খেললেও স্টোকসের ফিফটি এসেছে ৪৭ বলে। 

১৯ তম ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ফুল লেন্থের বলটা মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে ১ ওভার হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান বাঁহাতি এ ব্যাটার। তাতে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বজয়ের আনন্দে মাতে ইংলিশ সমর্থকরা। 

এনইআর