সতীর্থ ডুইন ব্রাভোর সঙ্গে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের উদযাপন, পরে বনেছেন ম্যাচের নায়কও/ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১৩১/৪ (চন্ডিমাল ৫৪, বান্দারা ৪৪)
উইন্ডিজ: ১৩৪/৭ (সিমন্স ২৬, লুইস ২১, পুরান ২৩, অ্যালেন ২১*; চামিরা ২/২৩, হাসরাঙ্গা ২/১৩)
ফল: উইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: ফ্যাবিয়ান অ্যালেন।
সিরিজ: উইন্ডিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ী

প্রথম ম্যাচে তাও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হ্যাটট্রিক কিছুটা সহানুভূতি পাইয়ে দিয়েছিল আকিলা দনাঞ্জয়াকে। তবে সেদিন ছয় ছক্কা হজম করা সেই দনাঞ্জয়াই আবারও শ্রীলঙ্কার খলনায়ক বনে গেলেন। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে হজম করে বসলেন ৩ ছক্কা। তাতেই উইন্ডিজের কাছে ম্যাচ আর সিরিজটা খুইয়ে বসল শ্রীলঙ্কা। 

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানরা শুরুটা মোটেও মনমতো করতে পারেনি। প্রথম দশ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে তুলতে পেরেছিল মোটে ৪৬ রান। তবে এরপরই প্রতিরোধ গড়েন দিনেশ চন্ডিমাল ও আশেন বান্দারা। ধ্বস সামাল দিয়ে লঙ্কানদের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন দুজনে। 

তাদের অবিচ্ছিন্ন ৮৫ রানের জুটিতে ভর করে স্বাগতিকদের সামনে ১৩২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সফরকারীরা। চান্দিমাল ৪৬ বলে ৩টি চার মেরে অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। আর বান্দারা ৩৫ বল থেকে ৩ চার আর ২ ছক্কায় তুলে নেন ৪৪ রান।

জবাব দিতে নেমে এভিন লুইস আর লেন্ডল সিমন্স শুরুটা করেছিলেন ভালোই। তবে ৩৭ রানে লুইস আর ৫৪ রানে সিমন্স ধরেন সাজঘরের পথ। উইন্ডিজের বিপর্যয়ের সেই শুরু। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে ১০৭ রানে ৭ ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি।

এরপরই অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স। জয়ের জন্য উইন্ডিজের তখন চাই ২০ রান। প্রথম ম্যাচের ছয় ছক্কা হজম করা দনাঞ্জয়া আবারও খলনায়ক বনে গেলেন ১৯তম ওভারটি করতে এসে। 

ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের কাছে প্রথম বলেই হজম করেন ছক্কা। এরপরের বলে অ্যালেন দুই রান নিলে সমীকরণটা নেমে আসে দশ বলে বারো রানের। এরপর আরো এক ছক্কায় প্রয়োজনটা নেমে আসে ছয় রানে। মাঝের দুই বলে দুই রান। শেষ বলে আরো এক ছয়ে এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে স্বাগতিক উইন্ডিজ। আর জয়ের কাছে থেকেও হারের যন্ত্রণায় নীল হয় লঙ্কানরা। 

এনইউ