সিরিজ জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ এমার্জিং দল আয়ারল্যান্ডকে আটকে রেখেছে ১৮২ রানে/ছবি: বিসিবি

চট্টগ্রাম পর্ব শেষে মিরপুরে শুরু বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) বনাম আয়ারল্যান্ড উলভস দলের লড়াই। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যেখানে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি করোনার কারণে পরিত্যক্ত হয়। পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আজ শুক্রবার সিরিজ জয়ের মিশনে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ১৮২ রানে থামিয়ে দিয়েছে সাইফ হাসানের দল। 

প্রায় ১ মাসের সফরে বাংলাদেশে এসেছে আইরিশরা। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে একেবারেই সুবিধা করতে পারছে না তারা। চট্টগ্রামে একমাত্র চারদিনের ম্যাচে সফরকারীদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ এইচপি দল। এরপর শুরু হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। এখানেও আধিপত্য স্বাগতিকদের। 

ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি পরিত্যক্ত হয়। পরের দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ এইচপি দলের সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করে আয়ারল্যান্ড উলভস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা করে ২৬৩ রান, তৃতীয়টিতে ২৬০ রান। তবুও শেষরক্ষা হয়নি আইরিশদের। হারতে হয়েছে দুই ম্যাচই। 

আগের দুই ম্যাচ যেখানে ২৬০ এর অধিক রান করেও সুবিধা করতে আয়ারল্যান্ড উলভস, সেখানে আজ শুক্রবার গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৮২ রানে। এতে পুরো কৃতিত্ব অবশ্য বাংলাদেশের বোলারদের। সুমন খান, মুকিদুল ইসলাম, রকিবুল হাসানদের বোলিং তোপে খেই হারিয়ে বসে সফরকারী ব্যাটসম্যানরা।

মিরপুরের উইকেটে দিনের শুরুর ১০ ওভার সবসময় চ্যালেঞ্জিং, সে চ্যালেঞ্জটা নেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান। টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি। ব্যাট করতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি আইরিশরা। প্রথম ১২ ওভারে ৫৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। 

পঞ্চম উইকেটে লরকান টাকারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মার্ক অ্যাডায়ার। তবে এই জুটি খুব বড় করতে দেননি রকিবুল। ৪০ রানে থাকা অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ৪৬ রানের পার্টনাশির ভাঙেন এই স্পিনার। পরে ২৪ রানে থাকা টাকারকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। মুকিদুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন গ্যারেথ ডেলানি। ফলে ১১২ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।

পরে রুহান প্রিটোরিয়াসের ৩৫ ও  গ্রাহাম হিউসের অপরাজিত ২৯ রানের কল্যাণে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ১৮২ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড উলভস। বাংলাদেশ এইচপি দলের হয়ে সুমন খান ৪টি ও সাইফ হাসান, রকিবুল এবং মুকিদুল ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৮৩ রান।

টিআইএস/এটি