রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নেওয়া হয় না ভারত-পাকিস্তানের। একমাত্র আইসিসি ইভেন্টগুলোতেই দেখা মেলে এই দুই দলের দ্বৈরথের। এমনই এক লড়াইয়ে রোববার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সে ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নারীরা।  

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানে আলাদা উন্মাদনা। মাঠের লড়াইয়েও থাকে এর রেশ। কেউই কাউকে এক বিন্দু ছাড় দিতে চায় না। কালকের লড়াইটাও হয়েছে তেমন। শক্তির বিচারী অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও ভারতকে বেশ চাপে রেখেছে পাকিস্তান। তবে ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বিসমাহ মারুফের দল। 

ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হবে আর বিতর্ক সৃষ্টি হবে না, এটা খুব একটা দেখা যায় না। কালকের ম্যাচেও ছিল বিতর্কিত ঘটনা। পাকিস্তানের বোলিং ইনিংসের সময় একটি ওভারে ভারতকে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েছেন দায়িত্বরত আম্পায়ার। 

পাকিস্তানের করা ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তোলে। সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন নিদা দার। তার ৬ বলে মোট ৬ রান নেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ ও শেফালি ভার্মা। কিন্তু আম্পায়ার ওভার শেষের সংকেত না দিয়ে আরও একটি বল করান নিদা দারকে দিয়ে। সপ্তম বলটিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারেন রদ্রিগেজ। যা ছিল তার প্রথম বাউন্ডারি।

শেষ পর্যন্ত ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। ৩৮ বলে ৮টি চারে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন জেমিমাহ রদ্রিগেজ।

এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। ভারতের ম্যাচে আইসিসির অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারটি তুলে আনা হয় বিভিন্ন কমেন্টে। নেটিজেনরা তুলে ধরছেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে বিরাট কোহলির একটি ঘটনা। মোহাম্মদ নেওয়াজের একটি বল শুরুতে আম্পায়ার নো বল না দিলেও বিরাট কোহলির দেখানো সংকেতের পর সেটিকে নো বল দেন আম্পায়ার রড টাকার ও মারাইস এরাসমাস। 

তবে নারী বিশ্বকাপে ৭ বলে ওভার দেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। আগের বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের ম্যাচে ঘটে এমন ঘটনা। সেবারও ভুক্তভোগী ছিল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ৭ বলে ওভার করেছিলেন পাকিস্তানের ওমাইমা সোহেল। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৬ রানে হেরেছিল পাকিস্তানের মেয়েরা।

এনইআর