টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টে দলেই সুযোগ হয়নি তার। উইকেটকিপার ব্যাটার কেএল রাহুল দুই টেস্টেই ব্যর্থ হওয়ার পর তার জায়গায় অন্তর্ভুক্তি হয় শুভমানের। ফেরার ম্যাচে সেভাবে রান না পেলেও আহমেদাবাদে স্বমহিমায় ভারতীয় ব্যাটার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন। ১৯৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন শুভমান। 

তার সেঞ্চুরিতে ভর করে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে ২ উইকেটে ২০০ রান পূর্ণ করেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৮০ রান থেকে এখনো ২৮০ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। 

ভারতের মাটিতে চলমান টেস্ট সিরিজের পিচ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অবশ্য পিচ নিয়ে সেই সমালোচনা অমূলক ছিল না। কারণ তিনটি টেস্টই শেষ হয়ে যায় তিনদিনেই। তৃতীয় ম্যাচে তো আড়াই দিনেই ফল চলে আসে। এরপর আইসিসির শাস্তির আওতায় আনা হয় ইন্দোরের পিচকে। দেওয়া হয় ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট। যার কারণেই কি-না চতুর্থ টেস্টে এসে পিচই বদল করে ফেলেছে ভারত। আহমেদাবাদ টেস্টে দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে চারশ’র অধিক রান পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।

সফরকারীরা ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল। দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে রানের চাকা অব্যাহত রাখেন খাজা ও গ্রিন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দুজনের জুটিতে আসে ২০৮ রান। যা প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেয়। ১১৪ রান করে গ্রিন ফিরলেও অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন খাজা। এর আগে মাত্র ৫ রানের জন্য প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়া খাজা শেষ পর্যন্ত ১৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। 

অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রান পাচ্ছে ভারতও। দলীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরিয়ান শুভমানের ব্যাটে দারুণ জবাব দিচ্ছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন শেষ সেশনেও প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ না হওয়ায় আহমেদাবাদ টেস্টের ফল নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর এই ম্যাচটির ওপর নির্ভর করছে ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালের ভাগ্য। 

এফআই