ত্রিদেশীয় যুব ওয়ানডে সিরিজে টানা দ্বিতীয় হার দেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। টাইগার ব্যাটারদের নিষ্প্রাণ পারফরম্যান্সের পর দাপট দেখিয়েই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত অর্ধশতক করা আহরার আমিন ছাড়া এই ম্যাচে আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান পাননি। ফলে প্রথমে ব্যাট করে টেনেটুনে দুইশ পার করে বাংলাদেশ। যার ওপর ভরসা করতে পারেননি বোলাররা।

এদিন আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে তাদের শুরুটা দেখেশুনেই হয়েছিল। দুই ওপেনার আশিকুর রহমান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রথম ১১ ওভার কাটিয়ে দেন। দ্বাদশ ওভারে ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে আশিকুরের বিদায়ে। ভালো কিছুর আভাস দিয়েও তিনি মালশা থারিপাথুর বলে বোল্ড হয়ে যান।

এর কয়েক ওভার পরই সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ১ ছক্কা ও ৩ চারে তিনি ৩৮ রান করেন। আরিফুল ইসলামও বেশিক্ষণ টানতে পারেননি দলকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালানো আহরার ৭০ বলে ফিফটি স্পর্শ করে রানআউট হন ইনিংসের শেষ বলে। এছাড়া ৩৭ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪০ রান আসে জিশানের ব্যাট থেকে। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৯ রানে।

রান তাড়ায় নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন কাপুরুবান্দারা। তাকে সঙ্গ দিয়ে যান জয়াবর্ধনে। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান আসে। ৪৪ বলে ফিফটি করা কাপুরুবান্দারা বিদায় নেন জিশানের করা ১৯তম ওভারে। অন্যদিকে, ছক্কা মেরে ৭৫ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন জয়াবর্ধনে। এরপর তিনি রানের গতিতে দম দেন। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১১৯ বলে। সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি, ফেরেন শিহাব জেমসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ২ ছক্কা ও ৯ চারে জয়াবর্ধনে ১০১ রান করেন। 

তখন ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লঙ্কানরা। পরবর্তীতে ৩৩ বল বাকি থাকতেই তারা ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়। বাংলাদেশের হয়ে জীবন ও শিহাব একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরও বড় ব্যবধানে হারে যুব টাইগাররা। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র ৭৫ রানেই গুটিয়ে যায়। এরপর মাত্র ৫৯ বলেই ৭ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।

এএইচএস