ছবি: সংগৃহীত

আক্রমণে এসে উইকেটে থিতু হওয়ার জন্য একটুও সময় নিলেন না, প্রথম ডেলিভারীতেই নিশানা ভেদ করলেন তাসকিন! সেটাও আবার দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ব্যাটারকে বোল্ড করে। সবমিলিয়ে নিজের করা প্রথম ৭ বলেই ৪ উইকেট শিকার করলেন। তাতেই এই পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড। এমন পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই তার জন্য মনে রাখার মতো। তবে আরও একটা কারণে এই ম্যাচটা তাসকিনের জন্য বিশেষ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জার্সিতে ম্যাচ খেলার হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন এই পেসার। 

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে শুরু করেন পল স্টার্লিং। দুই ওপেনার মিলে এই ওভারে চার চারে ১৮ রান তোলেন। পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান খরচ করেন ১৪ রান। তাতে ২ ওভার শেষে ৩২ রান তুলে কাঁপন ধরিয়ে দেয় সফরকারীরা। 

তবে চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তাসকিন। প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান তিনি। এই পেসারের স্বপ্নের মতো এক ইয়র্কারে স্টাম্প উপড়ে গেছে লরকার টাকারের। তার আগে ১ রান এসেছে এই উইকেটকিপারের ব্যাট থেকে। 

এমন শুরুর দুই বল পর আরও একবার তাসকিনের শিকার। এবার গুড লেন্থে করা বলে চোখ বন্ধ করে শট খেলতে গেলেন স্টার্লিং, আর তাতে বল আঘাত হানলো তার উইকেটে। এই ওপেনার নামের পাশে যোগ করেছেন ১৭ রান। পরের বলে তাসকিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ডম্যানে শামিম পাটোয়ারীর হাতে ধরা পড়েন জর্জ ডকরেল। গোল্ডেন ডাক হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। তাতে নিজের প্রথম ওভারেই তিন উইকেট তুলে নেন তাসকিন।

এরপর ইনিংসের ৮ম এবং নিজের ২য় ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও প্রথম বলে উইকেটের দেখান পান তাসকিন। শেষ পর্যন্ত নিজের কোটার নির্ধারিত ২ ওভার বোলিং করে ১৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন।

এইচজেএস