নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা ম্যাচ হারলেও ২০০৭ সালের পর ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৮০ রানের নিচে স্কোর করেনি বাংলাদেশ দল। আজ শনিবার ডানেডিনে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। একদিনের ক্রিকেটে শেষ তিন বছর আগে ব্যাট করে এতো কম স্কোর করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, এতো কম রানে অলআউট হওয়া দল নয় তারা। 

ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘সকালে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। গতিও ছিল, সুইংও ছিল। আমাদের আউটগুলো যদি দেখেন, ৩-৪টি অপ্রত্যাশিত। ১৩০ রান করার মতো দল আমরা না, যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেন। অবশ্যই আমরা ভালো করিনি। ভুল শটস বাছাই করেছি দেখেই ১৩০ রান করেছি। আলগা শটসগুলো পুনরাবৃত্তি না করলে...। এখানে ভালো কিছু করতে হলে অন্ততপক্ষে আমাদের ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।’

তামিম আরও যোগ করেন, ‘এ পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আমাদের অন্তত ২৬০-২৭০ রান করতে হবে যাতে বোলাররা জেতানোর মতো সুযোগ পায়। এভাবে যদি ১৩০ বা ২০০-এর মধ্যে অলআউট হয়ে যাই তাহলে বোলারদের জেতানোর মতো কিছুই থাকবে না। ব্যাটিং অর্ডারের শীর্ষ পাঁচ থেকে একজনের বড় রান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন করতে পারলেই বড় রান করা সম্ভব। যদি এখান থেকে কেউ না করে তাহলে খুবই কঠিন। বিশেষ করে এখানকার পরিবেশে। আমরা দেশে যে কন্ডিশনে খেলি তা থেকে এখানকার কন্ডিশন খুব ভিন্ন।’

তামিম জানিয়েছেন, ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠের উইকেটে সকালের দিকে সুবিধা পেয়েছেন স্বাগতিক পেসাররা। গতির পাশাপাশি ট্রেন্ট বোল্ট-হেনরিদের সুইং বিপাকে ফেলেছে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। যেটি নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে স্বাভাবিক ব্যাপার। মূল মঞ্চে নামার দিন দুয়েক আগে বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যাটসম্যান জানিয়েছিলেন, নিউজিল্যান্ডের উইকেট মনে ধরেছে তাদের। হঠাৎ করেই কি বদলে গেল উইকেটের চরিত্র? এতো আগে গিয়েও কি প্রস্তুতিতে ঘাটতি পড়ল বাংলাদেশ দলের?

তামিম জানালেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে কোনো দোষারোপ করব না। কোনো অজুহাতও দেব না এ নিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে। ১৪ দিন আমরা কোয়ারেন্টিনে ছিলাম, এর মধ্যে ৭ দিন ছোট ছোট গ্রুপ করে অনুশীলন করতে পেরেছি। কুইন্সটাউনেও অনুশীলন করেছি। তাই মনে হয় না প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিল। গত ৪ বছরে আমরা ২-৩ বার নিউজিল্যান্ড এসেছি। আমরা জানি এখানে কী প্রত্যাশিত হতে পারে। কোন ধরনের বল হবে না হবে। তাই প্রস্তুতি ঠিক ছিল না এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না।’

টিআইএস/এটি/এমএমজে