বাংলাদেশকে বাস্তবতা বোঝাল নিউজিল্যান্ড
ছবি: আইসিসি
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১৩১/১০, ৪১.৫ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ২৭, মুশফিক ২৩, লিটন ১৯; বোল্ট ৪/২৭, স্যান্টনার ২/২৩, নিশাম ২/২৭)
নিউজিল্যান্ড: ১৩২/২, ২১.২ ওভার (নিকলস ৪৯*, গাপটিল ৩৮, কনওয়ে ২৭; তাসকিন ১/২৩, হাসান, ১/৪৯)
বিজ্ঞাপন
ফল: নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
দলের ব্যাটিং অর্ডারের দুই স্তম্ভ কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরকে ছাড়া খেলতে নামে নিউজিল্যান্ড দল। কিইউদের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে এর থেকে বড় উলপক্ষ আর কি হতে পারে বাংলাদেশ দলের কাছে? তবে উইলিয়ামসন আর টেলরের অভাব একেবারেই টের পায়নি স্বাগতিকরা। ম্যাচ জয়ের পুরো কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন স্বাগতিক বোলাররা। পরে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ব্যাটসম্যানরা।
বিজ্ঞাপন
এদিন আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ দলকে মাত্র ১৩১ রানে অলআউট করে দেয় নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ১৩২ রান টপকাতে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। এতে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এমন হারের পর কি বলবেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল? অন্তত প্রস্তুতিকে দোষারোপ করবেন না তিনি। মূল মঞ্চে নামার আগে দুই দেশের গণমাধ্যমকেই বড় গলায় টাইগার দলপতি জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে এবার মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে সেরা প্রস্তুতি নিয়েছে তার দল। সেরা প্রস্তুতির পরেও বাংলাদেশ দলের এমন বেহাল দশা!
এর আগে ৫ বার নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে সবেমিলিয়ে ১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০০৭ সালে সফরে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি বাদ দিলে কিউইদের বিপক্ষে ১৮০ রানে নিচে কোনও ইনিংস নেই টাইগারদের। তবে এবার সেরা প্রস্তুতি নিয়েও কেন এমন অবস্থা সফরকারীদের? তবে কি কিউই আতঙ্ক পেয়ে বসেছে তামিম ইকবালের দলের?
নিউজিল্যান্ডে মাটিতে এর আগে ২৬ বার স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই পরাজিত দলের তালিকায় লাল-সবুজের নাম। এবার সে আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ ছিল। জয়ের বার্তা দেশ ছাড়ার আগে দিয়ে গেছেন তামিম। তবে সাকিব ছাড়া বাংলাদেশ দল রঙ হারাল, বিবর্ণ ব্যাটে-বলে সবখানে। এতে তো জয় খরা মিটলই না, উল্টো হারের তালিকা বড় হলো আরও। ২৬ থেকে বেড়ে সংখ্যাটা ২৭-এ ঠেকল।
এদিন ১৩২ রানের মামুলি টার্গেট টপকাতে নেমে মাত্র ১২৮ বল খেলে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৭২ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামী ২৩ মার্চ। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তাসকিন আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে মাত্র ১৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫২ বলে ২৭ রান করেন কনওয়ে। বিশাল জয়ের ম্যাচেও ১ রানের আক্ষেপ নিকলসের। সুযোগ পেয়েও অর্ধশতক পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। শেষপর্যন্ত ৪৯ রানের অপরাজিত থাকেন। অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান ইয়ংয়ের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচে সফরকারীদের ইনিংসে ৩০ ঊর্ধ্ব কোনও জুটি হয়নি। তার খেসারতই দিতে হয়েছে গোটা দলকে। মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ম্যাচ সেরা হওয়া বোল্ট ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
টিআইএস