ব্যক্তিগত জীবনের ঝড় এখনো থামেনি, সঙ্গে ইনজুরির কাটিয়ে শতভাগ সুস্থ হননি নাসির হোসেন। এর মধ্যে আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরছেন এই অলরাউন্ডার। আগামীকাল (২২ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দল রংপুর বিভাগের হয়ে খেলবেন তিনি। মাঠে নামার আগে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথা জানালেন নাসির। যেখানে ৬ ম্যাচে ১০০০ রানে চোখ তার।

রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাসির বলেন, ‘এটি আমার কামব্যাক টুর্নামেন্ট। চেষ্টা থাকবে অন্ততপক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার। যেহেতু ৬টা ম্যাচ, ৬ ম্যাচে অন্তত ৮০০ বা হাজার রান করতে পারি। এটাই আমার চেষ্টা থাকবে।’

বিতর্ক আর চোট, পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে সঙ্গী বানিয়েছেন নাসির। ২০১১ সালে বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে ১১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ক্যারিয়ারে আরও বেশি ম্যাচ যোগ হতো নিয়মিত ইনজুরিতে না পড়লে। ২০১৮ সালে হাঁটুর চোটে ছিটকে যান নাসির। করোনার পর ফিরতে অনুশীলন শুরু করেছিলেন, তখন নতুন করে চোটে পড়েন।

এজন্য ফিটনেস টেস্টে উৎরাতে পারেননি তিনি। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও খেলা হয়নি নাসিরের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয়ে যাওয়া টি-টেন লিগ দিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এনসিলের ২২তম আসরে খেলবেন রংপুর বিভাগের হয়ে।

দলের সঙ্গে অনুশীলন শেষ নাসির বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। প্রায় এক বছর পর আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছি। টুর্নামেন্টটা ভালোভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে। ইনজুরি এখনো আমার মাথা থেকে পুরোপুরি যায়নি সত্যি বলতে। বলবো না এখনো একশ ভাগ ফিট। মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে। চেষ্টা করছি শতভাগ ফিট হওয়ার জন্য। খেলার মাধ্যমেই ভয়টা কাটানো সম্ভব। খেলা আর জিম রানিংয়ের মাধ্যমে পুরোপুরি শেষ হওয়া সম্ভব (চোট)।’

টুর্নামেন্টে নিজের দল নিয়ে নাসির জানান, ‘বরাবরই আমরা ভালো দল থাকি এবং ভালো খেলি। প্রত্যেকবারই শিরোপার জন্য লড়াই করি। লিটন অবশ্যই আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে ও ছাড়াও ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দল ভালো।’

টিআইএস/এমএইচ