কজনই বা ভেবেছিলেন, আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দেখতে পারবেন শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, জন্টি রোডস, সনাথ জয়সুরিয়াদের মতো তারকাদের। অবসর ভেঙে আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন তারা। খেলতে নেমেছিলেন রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে। এ টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ লেজেন্ডস দল। রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত লেজেন্ডস ও শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস। যেখানে লঙ্কানদের ১৪ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত।

টুর্নামেন্টের মান বিচারে বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা হয়না বটে, তবে এ টুর্নামেন্ট ঘিরে রোমাঞ্চ নেহায়েত কম নয়। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতে লড়েছিল স্বাগতিক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সে আসরে লঙ্কানদের হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল শচীন-শেবাগরা। সেবারের মতো এবারও ফাইনাল হারের ক্ষত শ্রীলঙ্কার। পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছড়তে হয় তিলকরাত্নে দিলশান, উপুল থারাঙ্গা, নুয়ান কুলাসেকারাদের।

রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের ফাইনালে রোববার রাতে জয়পুরে মুখোমুখি হয় দুই দল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে টস জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান দলপতি দিলশান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ব্যক্তিগত ১০ রান করে হেরাথের বলে বোল্ড হন ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ। তিনে নামা বদ্রিনাথ ফেরেন ৭ রান করে। এরপর শচীন ৩০ রান করে আউট হলে খানিক বিপদে পড়ে ভারত। তবে সে বিপদ স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ।

চতুর্থ উইকেটে ৪৭ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন দুই ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং ও ইউসুফ পাঠান। যুবরাজ ৪১ বলে ৬০ রান করে সাজঘরে ফিরলে নিজের ফিফটি তুলে নেন পাঠান ভাইদের বড়জন। পরে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন ইউসুফ। ছোট ভাই ইরফান পাঠান অপরাজিত থাকেন ৮ রান করে। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের পুঁজি পায় ভারত।

১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস। উদ্বোধনি জুটিতেই ৬১ রান যোগ করে তারা। টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে সমানে আলো ছড়িয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতা দিলশান এ ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। বল হাতে উইকেট শূন্য থাকার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রানে ফেরেন তিনি। খানিক পর চামারা সিলভা ২ রান করে আউট হন।

এরপর দলীয় ৮৩ রানে জয়সুরিয়া ৪৩ রান করে আউট হলে জয়ের আশা ফিকে অয়ে যায় শ্রীলঙ্কার। শেষদিকে অবশ্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন চিন্থাকা জয়াসিংহে ও কৌশল্য ভিরারাত্নে। তবে জয়াসিংহের ৪০ রানের ইনিংস ও ভিরারাত্নের ১৫ বলে ৩৮ রানের লড়াকু ইনিংসও কাজে আসেনি। ২০ ওভার শেষে ১৬৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ফলে ১৪ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে ভারত লেজেন্ডস। ব্যাট হাতে ৬২ রানের পাশাপাশি বল করতে এসেও ২ উইকেট নেন উইসুফ পাঠান।

টিআইএস