ছবি: সংগৃহীত

অধিনায়কের পর বাংলাদেশের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্টার্লিং। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া এই অভিজ্ঞ ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩২তম ওভারের প্রথম বলে এই স্পিনারের বাড়তি বাউন্সে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি স্টার্লিং, তাতে আউটসাইড এইডজে বল চলে যায় মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে। ৭৩ বলে ৬০ রান করা স্টার্লিং সাজঘরে ফেরায় ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ।  

৩৫ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান। ২৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন টেক্টর, অপর অপরাজিত ব্যাটার টাকারের সংগ্রহ ৬ রান। 

২৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দেখে-শুনে শুরু করেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও স্টিফেন ডোহেনি। তবে বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি এই জুটি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আইরিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওভারের দ্বিতীয় বলটি ফ স্টাম্পের বাইরে লেন্থ ডেলিভারী ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। সেখানে কাট করতে গিয়ে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ডোহেনি। সাজঘরে ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ৪ রান।

ডোহেনিকে দ্রুত ফেরালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশী বোলারদের ওপর চড়াও  আইরিশ ব্যাটাররা। স্টার্লিং শুরুতে ধীরগতির ব্যাটিং করলেও উইকেটে থিতু হওয়ার পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তিনে নামা অ্যান্ডি বার্লবির্নিকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত ভীত গড়েন এই ওপেনার। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২১ ওভারে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করে আইরিশরা। আর ৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন স্টার্লিং। এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন বালবির্নিও। ফিফটি করতে অধিনায়কের খরচ করেছেন ৭১ বল।

হাফ সেঞ্চুরির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না বালবির্নি। ২৭তম ওভারের প্রথম বলটি খাটো লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত, সেখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে পুল করেন আইরিশ অধিনায়ক। টাইমিং না হওয়ায় শুধুই উচ্চতা পেয়েছেন কিন্তু দূরত্ব পাননি। তাতে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৮ বলে ৫৩ রান। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের উইকেট এমন মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট ছিল টাইগারদের উদযাপনে। বিশেষ করে, এবাদত এই উইকেটটা উদযাপন করেছেন তার ট্রেডমার্ক 'স্যালুট' দিয়ে।

এর আগে চেমসফোর্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৫ রান করেছেন মুশফিক, মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান।

এইচজেএস