বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই শিরোপার লড়াইয়ে নেমেছিল দুই দল। তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার-ছক্কার বৃষ্টি ছোটালেন গুজরাটের ব্যাটাররা। একের পর এক তাণ্ডব চালানো ইনিংসে গুজরাট টাইটান্সকে ফাইনালে তোলা শুভমান গিল আজও দারুণ শুরু পেয়েছিলেন। তবে ধোনির বিদ্যুৎগতির স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক সাজঘরে ফেরার পর কিছুটা থমকে গিয়েছিল তাদের রান। 

এক গিলের বিদায়ে যেন পুর্নজন্ম হলো আরেক গিলের। ফাইনালের মঞ্চে গিলের ‘ডেমো’ হয়েই খেললেন গুজরাটের আরেক ব্যাটার সাই সুদর্শন। তার ৪৭ বলে ৯৬ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আইপিএল ফাইনালে ইতিহাসে প্রথমবার ব্যাট করতে নেমে এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ পাঁচ আইপিএল জেতার রেকর্ড ছুঁতে ধোনির চেন্নাইকে করতে হবে ২১৫ রান। 

রোববারের ফাইনাল গড়াল সোমবারে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বড় বাঁচা বাঁচেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শুভমান গিল। দ্বিতীয় ওভারে বল করছিলেন তুষার দেশপাণ্ডে। তার চতুর্থ বলে স্কোয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শুভমান। কিন্তু তা ধরতেই পারেননি দীপক চাহার। হাতের মধ্যে থাকা ক্যাচ ফেলে দেন তিনি। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুভমানের ক্যাচ ফেলে চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল মুম্বাইকে। আজও মাত্র ৩ রানে জীবন পান শুভমান। তবে এদিন শুভমানকে ইনিংস বড় করতে দিলেন না খোদ ধোনি। পাওয়ার প্লেতে ঋদ্ধিমান সাহাকে সঙ্গে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গুজরাটকে। ৬ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা তোলে ৬২ রান।

ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন সাই সুদর্শন। ছবি ক্রিকইনফোর

 

জীবন পাওয়া গিল আরেকটি হাফসেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ২০ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গুজরাট ওপেনার করেন ৩৯।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাই সুদর্শনকে নিয়ে ৪২ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ঋদ্ধি। ৩৬ বলে ফিফটি করা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারকে ফেরেন দীপক চাহার। গিলের উইকেট মিসের পর যেন শাপমোচন করলেন এই পেস অলরাউন্ডার। দুই উইকেট হারানোর পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সুদর্শন। মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি করেন গুজরাটের এই ব্যাটার।

ব্যক্তিগত ফিফটির পর চেন্নাইয়ের বোলারদের ওপর আরও চড়াও হন সুদর্শন। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ৩ চার আর ১ ছক্কা হাঁকিয়ে একাই ২১ রান তুলে নেন এই ব্যাটার। শেষ ওভারে মাথিশা পাথিরানাকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় চলে এসেছিলেন সুদর্শন। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। 

শেষ দিকে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন রশিদ খান। তবে ততক্ষণে ২১৪ রানের বড় পুঁজি গড়ে ফেলে গুজরাট। চেন্নাইয়ের হয়ে দেদারসে রান বিলিয়েছেন সবাই। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন মাথিশা পাথিরানা। 

এফআই